ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বিভিন্ন বাস কোম্পানিগুলো। ২ মে ঈদের দিন ধরে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। তবে অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথমদিনে যাত্রীদের তেমন কোন চাপ দেখা যায়নি।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ বাস টার্মিনাল গাবতলী গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম দিনে সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করলেও তেমন কোন ভিড় ছিল না যাত্রীদের। কাউন্টারের কর্মীরা জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি।

গাবতলী সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মোহাম্মদ হাবিব রাইজিংবিডিকে বলেন, আজ সকাল থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। কিন্তু আজ সকাল থেকে যাত্রীদের তেমন কোন ভিড় দেখা যায়নি। ঈদের আগে ২৮, ২৯ এবং ৩০ তারিখের টিকিটের বেশি ক্রেতা লক্ষ্য করা গেছে। ৩০ তারিখের টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। কারণ ওইদিন সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাবে।

হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার হুমায়ুন ইসলাম বলেন, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় সবাই একেবারে শেষ দিকে বাড়ি যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ৩০ এপ্রিল ও ১ মের টিকিটের বেশি চাহিদা থাকবে। তবে এবার মানুষ সশরীরে টিকিট কাটতে কম আসতে পারে কারণ অনলাইনে ৩০ শতাংশ টিকিট কেনার সুযোগ থাকায় মানুষ সেদিকে বেশি আগ্রহী।

ঈদের অগ্রিম টিকিট নিতে ধানমন্ডি থেকে এসেছেন এস এম ইমরান। তিনি বলেন, আমি আগামী ৩০ তারিখ ঈদের ছুটিতে বরিশাল যাবো। তাই আমার এবং আমার স্ত্রীর জন্য টিকিট ক্রয় করতে আসলাম। ভেবেছিলাম অনেক ভিড় হবে কিন্তু এসে দেখি কাউন্টার প্রায় ফাঁকা। তাই খুব সহজেই টিকিট কেটে বাসায় যাচ্ছি।

টিকিটের ভাড়া বেশি রাখা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না ভাড়া বেশি রাখা হচ্ছে না। সরকারের নির্ধারিত ভাড়াই রাখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ রাইজিংবিডিকে বলেন, টিকিট বিক্রির জন্য সব পরিবহনের আলাদা কাউন্টার খোলা হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের জেলার বাসের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। বাস কাউন্টার ও অনলাইন থেকে কয়েকটি পরিবহনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন যাত্রীরা। গাবতলী, সায়েদাবাদ, কল্যাণপুর, আসাদগেট, আরামবাগ ও মৌচাকে বিভিন্ন আন্তঃজেলা বাসের কাউন্টার থেকে আগাম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, যাত্রীরা যেন নির্ভিগ্নে বাসে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য আমরা আমাদের স্টাফদেড় সব ধরনের নির্দেশনা দিয়েছি। করোনার প্রকোপ তেমন না থাকলেও আমরা সবাইকে ঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালানোর নির্দেশনা দিয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাজারে বেগুন শিমের সেঞ্চুরি
পরবর্তী নিবন্ধপুরান ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে