নিজস্ব প্রতিবেদক : সক্ষমতা অর্জনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তাই বিশ্ববাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জনের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও সমান তালে এগিয়ে আসতে হবে।
রোববার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ পর্যটন ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন দ্য প্রপোজড টাইম বাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান টু এলডিসি গ্রাজুয়েশন রিলেটেড সাব-কমিটি: প্রিফারেনসিয়াল মার্কেট একসেজ এন্ড ট্রেড এগ্রিমেন্ট এন্ড ডব্লিউটিও ইস্যুজ’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ লাভ করবে। এটা একদিকে আমাদের জন্য খুশির খবর, অপরদিকে চ্যালেঞ্জের। এ অর্জন আমাদের সফলতার। আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে। কাজ করতে হবে গভীরভাবে। বুঝে ও জেনে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর অনেক বাণিজ্য সুবিধা থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা দিলেও অনেক শর্ত পূরণ করতে হবে। বাণিজ্য সুবিধা আদায় করতে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। এজন্য সাময়িকভাবে আমরা কিছু শুল্ক হারালেও দীর্ঘ মেয়াদে আমরা লাভবান হবো।
টিপু মুনশি বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকতে হলে যোগ্য ও দক্ষ মানুষ গড়ে তুলতে হবে। বিদেশি দক্ষ জনশক্তির ওপর নির্ভর করলে চলবে না। তিনি বলেন, আমাদের কাজ আমাদেরই দক্ষতার সঙ্গে করতে হবে। যোগ্য ও দক্ষ মানুষগুলোকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, প্ল্যানিং কমিশনের এগ্রিকালচার, ওয়াটার রিসোর্স এন্ড রুরাল ইনস্টিটিউশনস ডিভিশনের সদস্য (সচিব) শরিফা খান এবং এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ।