আগামী বছরেই হলমার্ক কেলেঙ্কারির পরিসমাপ্তি ঘটবে : সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান

মাসুদ মিয়া: হলমার্ক ঋণ কেলেঙ্কারি কাঁপিয়ে দিয়েছিল সোনালী ব্যাংকের ভিত। ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নেয়ায় সংকটে পড়ে যায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি। সেই ঘটনার প্রায় ১০ বছর পর আশার কথা শোনালেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান। বলেন, আগামী বছর ঘটবে হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনার পরিসমাপ্তি।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন কথা দেন। আতাউর রহমান প্রধান বলেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর ব্যাংকটির আইনি কাঠামোঠামো জোরালো হয়েছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা ব্যাংকটিতে আর ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, মূলধন ঘাটতির কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকের আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও লেনদেন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় এ ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ এখন এক লাখ ৩১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। যার বিপরীতে ঋণ রয়েছে ৬৯ হাজার ১১ কোটি টাকা।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বড় অঙ্কের এ ঋণের বিপরীতে খেলাপি ঋণের হার ১৬ শতাংশ। চলতি বছরের মার্চে ব্যাংকটির ৫৬৮ কোটি পরিচালন মুনাফা হয়েছে বলেও জানান তিনি। হলমার্ক পরবর্তী সময়ে সোনালী ব্যাংকের অনেক সমালোচনা হলেও ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্যাংকটি।
আতাউর রহমান বলেন, করোনার মধ্যে সোনালী ব্যাংক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে ব্যাপক এগিয়েছে। আগামী দিনে গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে প্রযুক্তির ব্যবহারে আরও বেশি জোর দেয়া হচ্ছে বলেও জানান আতাউর রহমান প্রধান।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে হলমার্কের ঋণ জালিয়াতির খবর প্রথম প্রকাশিত হয়। হলমার্কসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল) শাখা থেকে ঋণের নামে তিন হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। আলোচিত এ কেলেঙ্কারির হোতা হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ হলেও এর সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইএসও সনদ পেল ইসলামী ব্যাংক
পরবর্তী নিবন্ধকোকা-কোলা কিনতে চান ইলন মাস্ক!