নিজস্ব প্রতিবেদক: উৎপাদন কার্যক্রম গতিশীল রাখতে ও পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে কৃষিঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে কোনো ডাউন পেমেন্টে না নিয়েই কৃষিঋণ তিন বছরের জন্য পুনঃতফসিল করার সুযোগ থাকছে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ-বিআরপিডি এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে।
দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আর্ন্তজাতিক বাজারে বিভিন্ন কৃষি উপকরণের মূল্য এবং পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে এর আমদানি মূল্যও বেড়েছে। কৃষিপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে এ খাতে উদ্যোক্তাদের উৎপাদন কার্যক্রম আরও গতিশীল করা প্রয়োজন। এ পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তাদের কৃষিঋণ পরিশোধ সহজ করতে ও স্বাভাবিক ঋণ প্রবাহ বজায় রাখতে স্বল্প মেয়াদি কৃষিঋণ পুনঃতফসিলীকরণের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে কোনো ডাউন পেমেন্টে না নিয়েই কৃষিঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ডাউন পেমেন্ট গ্রহণের শর্ত শিথিল করে স্বল্প মেয়াদি কৃষিঋণ পুনঃতফসিলের তারিখ হতে ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ তিন বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে। ক্ষেত্রবিশেষে ডাউন পেমেন্ট ছাড়াও এ ধরনের ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।
ঋণ পুনঃতফসিলের পর উল্লেখিত খাতের ঋণগ্রহীতাদের কোনো অর্থ নতুনভাবে জমা ছাড়াই পুনরায় ঋণ প্রদান করা যাবে।
সার্টিফিকেট মামলা চলাকালীন গ্রাহকের সঙ্গে সমঝোতার (সোলেনামা) মাধ্যমে সার্টিফিকেট মামলা স্থগিত/নিষ্পত্তিপূর্বক ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। ইতোপূর্বে পুনঃতফসিলকৃত স্বল্প মেয়াদি কৃষিঋণের ক্ষেত্রেও উল্লেখিত সুবিধাদি প্রযোজ্য হবে।
এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং চলতি বছরের (২০২২ সালের) ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।