নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সিগারেট শিল্পের ৭৫ শতাংশ জায়গা দখল করে রেখেছে নিম্ন স্তরের সিগারেট। অথচ, দুই বছর ধরে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম অপরিবর্তিত আছে। ফলে, এই স্তরের ধূমপায়ীর সংখ্যা কমছে না। তাই, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ও সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আহ্ছানিয়া মিশন ঢাকা ও ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘টোব্যাকো প্রাইস অ্যান্ড ট্যাক্স’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ প্রস্তাব দেন।
রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে সেমিনারে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান, সিটিএফকে গ্র্যান্ডস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী।
বক্তারা বলেন, ‘দুই বছর ধরে বাজেটে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম অপরিবর্তিত আছে। জাতীয় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতিকে বিবেচনায় নিয়ে সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন।’
তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই।’
আবদুল্লাহ নাদভী মূল প্রবন্ধে বলেন, ‘সিগারেটের বর্তমান শুল্ক কাঠামো বেশ জটিল। এটি সহজ করতে হবে।’
তিনি প্রতি দশ শলাকার নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা, মধ্য স্তরের সিগারেটের প্রতি প্যাকেট ৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি উচ্চ স্তরের সিগারেটের প্রতি প্যাকেটের দামও সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণের প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, ‘এ প্রস্তাব কার্যকর করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। পাশাপাশি, ধূমপায়ী কমবে ১৩ লাখ এবং ৯ লাখ তরুণ ধূমপান করতে নিরুৎসাহিত হবে।’