নিজস্ব প্রতিবেদক: অভিজাত শপিংমল থেকে ফুটপাতের দোকান- সবখানেই এখন ক্রেতাদের ভিড়। শেষ সময়ে এসে পছন্দের পোশাক কিনতে সাধ্য অনুযায়ী পছন্দের মার্কেটে ছুটছেন ক্রেতারা। ফলে ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে রাজধানীর অভিজাত বিপণিবিতানে যেমন ক্রেতার ভিড়, একইভাবে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও পা ফেলার জায়গা নেই।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। একই চিত্র আজও (শনিবার)। শুক্রবার সকালে শপিংমল খোলার পর থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ক্রেতাদের ভিড়। ইফতারির পরে ক্রেতা সমাগমে মুখরিত হতে থাকে শপিংমলগুলো।
দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরের ক্যাপিটাল শপিংসেন্টারে দ্বিতীয় তলায় জুতার দোকানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরপর দু’বছর করোনার জন্য ঈদ কেনাকাটায় যে মন্দা ভাব দেখা গেছে, এবার তা দূর হয়েছে। তবে অনেকেই ঈদ করতে ঢাকার বাইরে চলে গেছেন। ফলে শনিবার থেকে বেচাকেনা কমার আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা।
জুতার হাট নামের দোকানের বিক্রয়কর্মী আরমান হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই বেচাকেনা খুব ভালো। করোনার আগে ঈদের সময় যেমন বিক্রি হতো, এখন তেমনই বিক্রি হচ্ছে।
রমজানের শেষ শুক্রবার মিরপুর-২ নম্বরের ফ্যাশন হাউজগুলোর বাইরে ও ভেতরেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সারা লাইফস্টাইলের বিক্রয়কর্মী নাফিস আহমেদ বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পুরুষদের আকর্ষণের তালিকায় বরাবরই প্রথমে থাকে পাঞ্জাবি। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমাদের এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন ফ্যাশন আইটেমের সমাহার আছে। এ জন্য বিক্রিও খুব ভালো। সন্ধ্যার পর দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া যায় না। তবে শেষ সময়ে এসে অনেককেই পছন্দের পোশাক দিতে পারছি না। কারণ চাহিদার তুলনায় স্টক কমে এসেছে।