আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের নয় শতাংশ শেয়ার কিনে কিছুদিন আগে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। কিন্তু এরপর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়, ঠিক কী করতে চান টেসলা প্রধান। অবশেষ পরিষ্কার হলো তার সেই উদ্দেশ্য। টুইটারের পুরো মালিকানাই কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ এই ধনী।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, টুইটার কিনতে ৪ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করতে রাজি ইলন মাস্ক। এর প্রতিটি শেয়ার ৫৪ দশমিক ২০ ডলারে কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি, যা সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের গত ১ এপ্রিলের শেয়ারদরের তুলনায় অন্তত ৩৮ শতাংশ বেশি।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ইলন মাস্ক বলেছেন, টুইটারের অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে, আমি এটি প্রকাশ করতে চাই। তিনি বলেন, বিনিয়োগ করার পর আমি বুঝতে পারছি, টুইটার এর বর্তমান গঠনপ্রক্রিয়ায় না উন্নতি করবে, না সামাজিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করবে। টুইটারকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে হবে।
নিজেকে বাকস্বাধীনতার পক্ষে দাবি করা এ মার্কিন ধনকুবের আগে থেকেই টুইটারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করে আসছেন। টুইটার চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো চিঠিতে মাস্ক বলেছেন, এটিই আমার সেরা ও শেষ প্রস্তাব। এটি গৃহীত না হলে শেয়ারহোল্ডার হিসেবে অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবো।
এর আগে টুইটারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হওয়ার একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন টেসলা সিইও। বিশ্লেষকরা তখন থেকেই ধারণা করছিলেন, এই বিলিয়নিয়ার হয়তো টুইটারে আরও বড় কোনো পদ চান। কারণ পর্ষদের সদস্য হলে তিনি সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক হতে পারতেন।
সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, গোল্ডম্যান স্যাশ ও উইলসন সোনসিনি গুডরিচ এবং রোসাটির পরামর্শ নিয়ে ইলন মাস্কের এই প্রস্তাব পর্যালোচনা করবে টুইটার। আর ইলন মাস্কের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে বিনিয়োগ ব্যাংক মরগান স্ট্যানলি।