নিজস্ব প্রতিবেদক : অতালিকাভুক্ত ২৬ বীমা কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য ফাইল দাখিল ও ইক্যুইটির ২০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাক্ষরিত এই চিঠি আইডিআরএ চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আমাদের শেয়ারবাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা নিয়ন্ত্রন করে। যাদের এই বাজারে অংশগ্রহন প্রায় ৮০ শতাংশ। কিন্তু শেয়ারবাজারের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা বেশি হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে বীমা কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারে।
বিএসইসি জানিয়েছে, ২৬ বীমা কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে কমিশন বিভিন্ন ইস্যুতে ছাড় দিয়েছে। তবে সেসব কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আসার জন্য ইক্যুইটির ২০% বিনিয়োগ করতে হবে। এ নিয়ে ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে আসতে ফাইল জমা এবং ইক্যুইটির ২০% বিনিয়োগে কোন উদ্যোগ নেয়নি।
এই পরিস্থিতিতে বীমা কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনতে আইপিওর জন্য ফাইল জমা ও ইক্যুইটির ২০% বিনিয়োগে পদক্ষেপ নিতে আইডিআরএকে অনুরোধ করেছে বিএসইসি। বীমার রেগুলেটর হিসেবে আইডিআরএ কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে বিএসইসি। এর আগে গত ২৩ মার্চ শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ৬১টি ব্যাংককে বিদ্যমান সক্ষমতার মধ্য থেকে বিনিয়োগ করার জন্য চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। যে ব্যাংকগুলোর ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
বিএসইসির ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। যা বিনিয়োগ সীমার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হবে না। এছাড়া ব্যাংকিং কোম্পানিজ আইনে প্রতিটি ব্যাংকের মূলধনের ২৫% শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ আছে। এই মূলধনের মধ্যে পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, স্ট্যাচুরি রিজার্ভ ও রিটেইন আর্নিংস অন্তর্ভূক্ত।
কিন্তু অনেক ব্যাংক বিনিয়োগ সীমা ও ২০০ কোটির বিশেষ তহবিলের থেকে অনেক কম বিনিয়োগ করেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত ২০০ কোটির বিশেষ তহবিল গঠনই করেনি। এই পরিস্থিতিতে ৩৩ ব্যাংককে বিনিয়োগ সীমা অনুযায়ি ও বিশেষ তহবিল থেকে বিনিয়োগের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশেষ তহবিল গঠন না করা ২৮ ব্যাংককে গঠন করে বিনিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।