নিজস্ব প্রতিবেদক : রপ্তানিমুখী ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য দেখাচ্ছে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশ। বাংলাদেশে নিজস্ব কারখানায় তৈরি ওয়ালটন পণ্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে পণ্য রপ্তানিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
উচ্চ মানের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সাফল্য ও সম্ভাবনা স্বচক্ষে দেখতে ওয়ালটনের হেড কোয়ার্টার পরিদর্শন করেছে ইপিবি‘র একটি প্রতিনিধিদল। শনিবার (২১ মে, ২০২২) ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম. আহসানের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলটি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার পরিদর্শন করে।
ইপিবি‘র প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন—মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান, সচিব ইফতিখার আহমেদ চৌধুরী, ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহজালাল ও কুমকুম সুলতানা, ডেপুটি ডিরেক্টর রাখী আহমেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মুনিরা শারমিন ও নজিবুর রহমান এবং স্টাফ অফিসার মইনুল ইসলাম।
সকালে হেড কোয়ার্টার কমপ্লেক্সে পৌঁছালে অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মগ ইয়াং, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক তাপস কুমার মজুমদার, আনিসুর রহমান মল্লিক ও ইয়াসির আল ইমরান, নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হাকিম প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, ‘ওয়ালটনের কারখানার কথা অনেক শুনেছি। জানতাম, এটা অনেক বড়। কিন্তু, এত বড় তা জানতাম না। আজকে এখানে এসে ওয়ালটন সম্পর্কে আমাদের ধারণা আরও পাকাপোক্ত হলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ালটন বাংলাদেশের বাজারে শীর্ষস্থানে আছে। এখন তাদের লক্ষ্য বিশ্ববাজার। এক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন বাংলাদেশের ব্র্যান্ড, বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বিশ্ববাজারে তুলে ধরা। অর্থাৎ বৈশ্বিক বাজারে আমাদের দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন। দরকার আন্তর্জাতিক মেলাগুলোতে বেশি করে অংশ নেওয়া। এক্ষেত্রে ওয়ালটনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ইপিবি প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।’
ইপিবি’র মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ইলেকট্রনিক্স খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি শুরু হয়েছে ওয়ালটনকে দিয়ে। অন্যরা তাদের অনুসরণ করার চেষ্টা করছে। এ খাতে আমাদের সম্ভাবনা অনেক। বাংলাদেশে ওয়ালটনের মার্কেট শেয়ার ৭০ শতাংশেরও বেশি। এখন ওয়ালটনের দরকার বৈশ্বিক বাজারে উপস্থিতি বৃদ্ধি করা, বিদেশে তাদের পণ্যের রপ্তানি বাড়ানো। ওয়ালটন ঠিক সে কাজটাই করছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে ওয়ালটনসহ এ খাতের সবাইকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।’
এর আগে হেড কোয়ার্টার প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ওয়ালটনের ‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’ উদ্যোগে নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম এবং নানা পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে তারা ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে যান। পর্যায়ক্রমে অতিথিরা ওয়ালটনের রেফ্রিজটারেটর, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, পিসিবি, মোল্ড অ্যান্ড ডাইসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া ঘুরে দেখেন।