মাসুদ মিয়া: দেশের শেয়ারবাজার গত সপ্তাহ সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ২ কার্যদিবস সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকে আর শেষ তিন কার্যদিবস দরপতনের মধ্য দিয়ে পার করেছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা কমেছে। ডিএসইতে বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচকও। তবে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩১ হাজার ১২ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে পাঁচ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গেলো সপ্তাহে ডিএসইতে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৭টির। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯০ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৫৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭০ শতাংশ। প্রধান মূল্যসূচক এবং ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত বাছাই করা সূচকের পাশাপাশি কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক। গেলো সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ১৪ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ।
গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৮১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৬৮ কোটি টাকা বা ৩৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৯৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় চার হাজার ৫৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৩৪০ কোটি দুই লাখ টাকা বা ৩৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেএমআই হাসপাতালের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩০ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮৩ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। ১৬০ কোটি সাত লাখ ৬১ হাজার টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসিআই ফরমুলেশন। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে শাহিনপুকুর সিরামিক, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ইউনিক হোটেল, ওরিয়ন ফার্মা, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্ট, ফরচুন সুজ এবং ইস্টার্ণ হাউজিং।