নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা বলা হচ্ছে, কিন্তু এরকম কিছুই হবে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কাকে যদি মালা দিয়ে আনা না হয়; তাহলে সেটা তা তার স্বার্থে হবে।
সেটা দেশের স্বার্থে হবে না।
শনিবার (১৪মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘শ্রমিকদের জন্য কেমন বাজেট চাই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ফেডারেশন গোলটেবিল আলোচনাটির আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, যত ধরনের পরিসংখ্যান প্রয়োজন সব কিছু আপনাদের সামনে আমরা দেব। আপনারা বাছ-বিচার করে দেখবেন যে আমাদের ঘাটতি আছে কিনা। যদি ঘাটতি না থাকে তাহলে আমাদের কাজ করতে দিন। রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করবেন না। সেটা তৈরি হলে আমরা-আপনারা সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবো।
পুরো বিশ্বে পুঁজিবাদের জয় জয়কার। সেখানে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রের পক্ষে পুঁজিবাদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সহজ কাজ নয় বলে আলোচনায় উল্লেখ করেন এম এ মান্নান। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমারা বলছেন কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে, অর্থ নয়। কিন্তু যেভাবে বাড়তি উৎপাদন হচ্ছে, রপ্তানি বাড়ছে সেখানে শ্রমিকের হক কতটুকু আছে সেটা না দিয়ে অল্প কিছু দিয়ে চলা হচ্ছে। ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে সেটাকে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়া উচিৎ। সেটা যেহেতু করতে পারছি না। সেখানে মাঝারি পথ অবলম্বন করা হয়। সে অনুসারে সবাই হক পাচ্ছে কিনা!
তিনি আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি; শ্রমিকদের পুরো পাওনা দেওয়া হচ্ছে না। তবুও যদি শ্রমিকদের প্রাপ্যটা যাতে আরেকটু ন্যায্য ও হকভিত্তিক করা যায় সেটা আমরা চেষ্টা করবো।
যুক্তরাষ্ট্রের লোকজন বাংলাদেশে ডিজিটাল টাকা পয়সার লেনদেন দেখে অবাক বলে গোলটেবিলে উল্লেখ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, সেখানে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে টাকা লেনদেন করা যায় না। সেখানে গ্রামগঞ্জে স্বল্প শিক্ষিত মানুষের কাছেও অনেক সহজেই ডিজিটালি টাকা ট্রান্সফার হচ্ছে। সেজন্য শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থায় না গিয়ে বিভিন্ন ব্যয় হিসেবে কিছু টাকা পাঠালে তারা উপকৃত হতো বলে আমি মনে করি। সেটা কিছুটা ভালো এবং দ্রুত হবে।
স্বাস্থ্যখাতে দেশের অনেক বড় কৃতিত্ব অর্জন হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, ১২১টি দেশের মধ্যে আমরা পঞ্চম স্থানে রয়েছি। কোভিড ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশের অর্জন অনেক বড়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য উন্নত দেশ হয়েও হিমশিম খেয়েছে। এ অঞ্চলের আটটি দেশের মাঝে আমরা প্রথম হয়েছি। যেখানে ভারত, পাকিস্তান আমাদের কাছেও নেই।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পলিটিকাল আনরেস্ট, ইউক্রেন, কোভিড, শ্রীলঙ্কা, চায়না লোন, বিশ্ব-ব্যাংক এসব বিষয় আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এসব আমাদের পরিচিত। বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে এই অঞ্চলে আমরা সবচেয়ে স্থিতিশীল পরিবেশে আছে। এ অঞ্চলের নেপাল, মায়ানমার এবং মালেশিয়াসহ অনেক দেশ থেকে আমরা স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আছি।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ফেডারেশন সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইলের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) কার্যকরী সভাপতি মো. হাতেম, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য প্রমুখ।