শেয়ারবাজারে বেড়েছে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজারে মন্দাভাব বিরাজ করলেও গত দেড় মাসে দেশি ও বিদেশি উভয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। এসব নতুন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যেমন পুরুষ বিনিয়োগকারী রয়েছেন, তেমনি নারী বিনিয়োগকারীও আছেন। এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও বেড়েছে।

দেশি-বিদেশি নতুন বিনিয়োগকারী আসায় গত দেড় মাসে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ৮ হাজারের ওপরে।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসের শেষ কার্যদিবস বা ৩১ মার্চে বিও হিসাব ছিল ২০ লাখ ৭২ হাজার ২৭৮টি, যা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৬টিতে। অর্থাৎ গত দেড় মাসে ৮ হাজার ৮৮টি বিও হিসাব বেড়েছে।

সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব আছে ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ১২২টি। মার্চ শেষে এই সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৫৯৫টি। অর্থাৎ দেড় মাসের ব্যবধানে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের হিসাব ৫ হাজার ৫২৭টি বেড়েছে।

বর্তমানে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার ২৬৭টি। মার্চ শেষে এই সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ১৫ হাজার ৮৭১টি। এ হিসাবে দেড় মাসে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ২ হাজার ৩৯৬টি।

দেড় মাসে কোম্পানি বিও হিসাব বেড়েছে ১৬৫টি। বর্তমানে কোম্পানি বিও হিসাব রয়েছে ১৫ হাজার ৯৭৭টি। মার্চ শেষে এই সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৮১২টি।

এদিকে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বর্তমানে দেশি বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ২৭৩টি। যা মার্চ শেষে ছিল ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ১৬৭টি। অর্থাৎ দেড় মাসে দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ৭ হাজার ১০৬টি।

অন্যদিকে বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব রয়েছে ৭৯ হাজার ১১৬টি। মার্চ শেষে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ৭৮ হাজার ২৯৯টি। অর্থাৎ দেড় মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ৮১৭টি।

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লেও গত দেড় মাসে বাজার মূলধন ও মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। গত দেড় মাসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ কমেছে। মার্চ মাস শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা, যা ১২ মে লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ১২ কোটি টাকায়।

অন্যদিকে গত দেড় মাসে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১৯২ পয়েন্ট। গত ৩১ মার্চ ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ছিল ৬ হাজার ৭৫৭ পয়েন্ট। ১২ মে লেনদেন শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৬৫ পয়েন্টে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিনিয়োগকারীদের পুঁজি নেই ৬ হাজার কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধনভেম্বরে শুরু হবে মেইড ইন বাংলাদেশ উইক