নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি বাজারে নিজস্ব মনিটরিং সেল গঠনের পরামর্শ দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে কারওয়ান বাজার ও নিউমার্কেটে দুটি মতবিনিময় সভায় এমন পরামর্শ দেওয়া হয়। দ্রব্যমূল্যের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে এ দুটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
তিনি বলেন, সারাদেশের মানুষ এখন ব্যবসায়ীদের ওপর ক্ষুব্ধ। কিন্তু গুটিকয়েক মজুতদারের জন্য এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী সৎ। ফলে সবাই মিলে প্রতিটি বাজারে মনিটরিং সেল করুন।
তিনি বলেন, সপ্তাহে দুদিন সে সেল দেখবে, প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা রয়েছে কি না। সে দামে বিক্রি হচ্ছে কি না। কেউ আইনের অতিরিক্ত পণ্য মজুত করেছে কি না।
তিনি আরও বলেন, ঈদের আগে থেকে ভোজ্যতেল নিয়ে অস্থিরতা। ঈদের পর বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে অবৈধ মজুতের তেল পাওয়া গেল। তাতে সব ব্যবসায়ীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। কিন্তু গুটিকয়েক মজুতদারের কারণে এ গ্লানি সবাই কেন বহন করবে?
তিনি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেন, আমরা আপনাদের বোঝাতে এসেছি। পাশাপাশি সতর্ক করছি। আইন হয়েছে, লাইসেন্স না থাকলে এক টনের বেশি পণ্য রাখতে পারবেন না দোকানে। আর লাইসেন্সধারীরা কে কতটুকু পণ্য মজুত রাখতে পারবেন সেটা জানুন। আমরা সেটা আপনাদের সমিতির কাছে আইনের কপি দিয়েছি।
দুটি মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি আমিন হেলালী ও হাবিব উল্ল্যাহ ডন।
এফবিসিসিআই বাজার মনিটরিং কমিটি জানায়, এখন থেকে বিভিন্ন বাজারে এমন মতবিনিময় সভা করা হবে। আগামী সপ্তাহে ফের রাজধানীর দুটি বাজারে এমন মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।