কমেছে মুরগির দাম, বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলু

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতদিনের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মিরপুর-১, ১০, ১১, ১৩, কালশী, কচুক্ষেত বাজার ঘুরে পণ্যের এ দর দেখা গেছে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রহমত আলী বলেন, বন্যার কারণে কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে।

পেঁয়াজের মতো দাম বেড়েছে আলুর। ব্যবসায়ীরা আলুর কেজি বিক্রি করছেন ৩০ টাকা।

আলুর দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, নতুন আলু না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে, মুরগির বাজারেদেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয় ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও সোনালি মুরগির কেজি গত সপ্তাহের মতো ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির দাম কমেছিল। এ সপ্তাহের ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। বাজারে মুরগির সরবরাহ বাড়লেও বিক্রি কমেছে, আমাদের ধারণা এ কারণেই মুরগির দাম কমতির দিকে। সামনে মুরগির দাম আরো একটু কমতে পারে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর। এক কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই সবজির দামে পরিবর্তন আসেনি। তবে গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম বেড়ে এখন ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিটির দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। টমেটোর মতো অপরিবর্তিত রয়েছে বরবটি ও বেগুনের দাম। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলাও গত সপ্তাহের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মিরপুর-১৩ নম্বরের বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। বন্যায় সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। শিগগির এর একটা প্রভাব বাজারে পড়বে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছেরও দামে পরিবর্তন আসেনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ১০০ টাকার স্মারক নোট
পরবর্তী নিবন্ধসিটি ব্যাংক ও এভারকেয়ার হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি