নিজস্ব প্রতিবেদক : সোমবার থেকে রাত আটটার পর সারাদেশে দোকানপাট, বিপণিবিতান, মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
রোববার (১৯ জুন) বিকেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তর ও দক্ষিণ, এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশন, এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, ঢাকা চেম্বারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী মালিক সংগঠন এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী রাত ৮টার পর দোকান বন্ধের নির্দেশনা ইতোমধ্যে দিয়েছেন। সেটা আগামীকাল সোমবার থেকে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে বসে আমরা সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী যে অনুশাসন, নির্দেশনা দিয়েছেন, এটা আমাদের আইনেও আছে, এটার প্রতিপালন আগামীকাল থেকেই শুরু হবে। ওনারা (ব্যবসায়ী প্রতিনিধি) একটা দাবির কথা বলেছেন। আগামী ১০ জুলাই কোরবানির ঈদ, এ জন্য ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন। এই প্রস্তাব আমরা সামারি আকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেব।
আইন অনুযায়ী কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে তা তুলে ধরেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. এহছানে এলাহী।
ডক, জেটি, স্টেশন অথবা বিমানবন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস; তরি-তরকারি, মাছ, মাংস, দুগ্ধ জাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি ও ফুল বিক্রির দোকান; ওষুধ, অপারেশন সরাঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান; দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান; তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান এবং দোকানে বসে খাওয়ার (হালকা) নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান; খুচরা, পেট্রোল বিক্রির জন্য পেট্রোল পাম্প এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটরগাড়ির সার্ভিস ষ্টেশন; নাপিত এবং কেশ প্রসাধনীর দোকান; যে কোন ময়লা নিষ্কাশন অথবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা; যে কোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যা জনগণকে শক্তি আলো-অথবা পানি সরবরাহ করে; ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবার দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটার এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে।
মুদি দোকানের ক্ষেত্রে কী হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, আইনে যেসব প্রতিষ্ঠান নির্দেশনার বাইরে থাকবে বলা হয়েছে, তার বাইরে সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকবে। সে ক্ষেত্রে মুদি দোকানও রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের সই করা চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা দিয়েছেন।