সেবা নিতে আমদানি-রপ্তানি অফিসে যেতে হবে না ব্যবসায়ীদের : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের অনলাইন শতভাগ সেবা দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৫০ ধরনের সেবা অনলাইনে দিতে নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সেবা দেওয়ার পরিমাণ ৫২টি। ব্যবসায়ীরা এখন এসব সেবা ঘরে বসে অনলাইনে নিতে পারবেন। এ দপ্তরের কোনো সেবা নেওয়ার জন্য সিসিআইঅ্যান্ডই অফিসে যেতে হবে না। এটা সরকারের জন্য বড় সফলতা। ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল অনলাইন সেবা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে অনেক এগিয়ে নেবে।

সোমবার (৬ জুন) ঢাকায় আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর আয়োজিত ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৫০ ধরনের সেবা অনলাইনে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন। অনলাইনে ব্যবসায়ীদের জন্য সব সেবা নিশ্চিত করে দায়িত্বশীল অবদান রাখতে হবে। আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে সোনার বাংলা গড়তে বেশি সময় প্রয়োজন হবে না।

তিনি বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য যেকোনো সময়ের চেয়ে গতিশীল হয়েছে। ব্যবসার পরিধি বেড়েছে। আমাদের কাছে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা অনেক। দেশের মানুষ যেকোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া সহজেই বাণিজ্য সংক্রান্ত সেবা পেতে চায়। সততা ও দক্ষতা দিয়ে মানুষের সে সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

‘মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সবাইকে কাজ করতে হবে। চলতি অর্থবছরে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, এবার প্রকৃত রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম হবে না। আগামী দুই বছর পর বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হবে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’

ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর ২০১৯ সালে ১ জুলাই থেকে অনলাইন সিস্টেম ‘অনলাইন লাইসেন্স মডিউল’ (ওএরএম) এর কার্যক্রম শুরু করে। ব্যবসায়ীদের জন্য সব সেবা (প্রায় ৫২টি) অনলাইনে নিশ্চিত করা হলো। এ সেবা নেওয়ার জন্য তৃতীয় কোনো পক্ষ বা ব্যক্তির সহযোগিতার প্রয়োজন হবে না।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কানিমশ ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আমদানি ও রপ্তানি অফিসের প্রধান নিয়ন্ত্রক শেখ রফিকুল ইসলাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপপুলার লাইফের ভোলায় বীমা গ্রাহকের বীমা দাবীর চেক হস্তান্তর
পরবর্তী নিবন্ধডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ১ টাকা ৬০ পয়সা কমলো