সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কল্যানে শেয়ারবাজারের সূচক ঊর্ধ্বমুখী

নিজস্ব প্রতিবেদক ; দেশের শেয়ারবাজার আগের দিনে ধারাবাহিকতায় গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও শেষপর্যন্ত দরপতনের তালিকা বড় হয়েছে। এরপরও বেড়েছে মূল্যসূচক। মূলত ব্যাংক ও আর্থিক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শেয়ারবাজার। গতকাল শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুর দুই মিনিটের মাথায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ২৩ পয়েন্ট। আর লেনদেনের ৩৮ মিনিটের মাথায় সূচকটি বাড়ে ৫২ পয়েন্ট। এ সময় দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেয় ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু এরপরেই শেয়ারবাজারে ছন্দপতন ঘটতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় স্থান করে নেয়। ফলে নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক। লেনদেনের শেষদিকে এসে পতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ফলে দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়কটি প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়, পতনের তালিকায় স্থান হয় তার থেকে বেশি প্রতিষ্ঠানের।
অবশ্য এর মধ্যেও দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে ব্যাংক এবং অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা লিজিং খাতের কোম্পানিগুলো। অন্যান্য খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও এ দুই খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ১৮টি ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫টি ব্যাংকের শেয়ারের। আর আর্থিক খাতের ১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫টির। অপরদিকে, সবখাত মিলে ডিএসইতে ১৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬২টির। আর ৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে ওঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যসূচক বাড়লেও বাজারটিতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

ডিএসইতে টাকার অংকে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শাহিনপুকুর সিরামিকের ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- তিতাস গ্যাস, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, পাওয়ার গ্রীড, ফু-ওয়াং ফুড, আরএকে সিরামিক এবং সোনারগাঁও টেক্সটাইল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ২৪ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩১টির এবং ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসচল হলো সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর
পরবর্তী নিবন্ধওয়ালটন ফ্রিজ কিনে এবার ২০ লাখ টাকা পেলেন ফেনীর সবুজ মিয়া