চাল এসেছে ৩৬৫০ টন, এলসি খোলা ৩৯৫৩৬০ টনের

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের কম শুল্কে চাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। এ পর্যন্ত ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল বেসরকারিভাবে আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার (২০ জুলাই) পর্যন্ত বেসরকারিভাবে তিন হাজার ৬৫০ টন চাল দেশে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এখন পর্যন্ত চাল আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে তিন লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০ টনের। যার মধ্যে আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টনের। শুল্ক কমানোর পর এ পর্যন্ত পাঁচ দফায় চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

এর আগে, প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ ৯ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠান, ৪ জুলাই ২ লাখ ৪৬ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ১২৫টি প্রতিষ্ঠান, ৭ জুলাই এক লাখ ৮২ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ৬২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৩ জুলাই ৭৩ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

সর্বশেষ আজ (বৃহস্পতিবার) আরও ৯০ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৫৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, শুল্ক কমানোর পর প্রথম ধাপে অনুমতি পাওয়া ৪ লাখ ৯ হাজার টন চাল আমদানির এলসি খোলার শেষ দিন ছিল আজ। এ অবস্থায় সরকার শুল্ক কমানোর সুবিধা দেওয়ার পর ভারত চালের দাম বাড়িয়েছে। পাশাপাশি ডলারের মূল্য বেড়েছে। এ দুই কারণ মিলিয়ে আমদানি করা চাল বাজার পর্যন্ত আনতে যে খরচ হবে, তা স্থানীয় বাজারের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে বেশি। এ কারণে চাল আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

তথ্য বলছে, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের কম শুল্কে চাল আমদানির সুযোগ দেওয়ার পরও এর সুফল বরাবরই পাওয়া যায় না। কারণ গত অর্থবছরের ১৭ আগস্ট থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সংকট কাটাতে ৪১৫টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১৭ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু সে সময় চাল আসে মাত্র ৩ লাখ ৩১ হাজার টন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসোনালী ব্যাংক ও ইডেন মহিলা কলেজের মধ্যে চুক্তি
পরবর্তী নিবন্ধআজ ব্যাংক খোলা