চাল-তেলের দাম কমেছে, বেড়েছে আটা-ময়দার

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত এক সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে মোটা চাল, সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মশুর ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। বিপরীতে আটা ও ময়দার সঙ্গে হলুদ, আদা ও দারুচিনির দাম বেড়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বংলাদেশের (টিসিবি) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যাম বাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভী বাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা ও মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম কমেছে ২ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া মোটা চাল এখন ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় লিটার বিক্রি হওয়া খোলা সয়াবিন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬৬ থেকে ১৭৫ টাকায়। আর ৫ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৮০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এই তেল ৯৬০ থেকে ৯৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলের ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

বোতলের ৫ লিটার সয়াবিন তেলের পাশাপাশি এক লিটার বোতলের দামও কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এক লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ১৯৫ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হওয়া এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়।

দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে পাম তেলও। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে লুজ পাম অয়েলের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা লিটার বিক্রি হওয়া লুজ পাম অয়েল এখন ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পেঁয়াজের দাম ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজিও ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিলো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।

বড় দানার মশুর ডালের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এই ডালের কেজি ছিলো ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। ছোট দানার মশুর ডালের দাম কমেছে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ছোট দানার মশুর ডাল এখন ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া আলুর দাম ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, দেশি রসুনের দাম ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, দেশি শুকনো মরিচের দাম ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে ২২০ থেকে ৩০০ টাকা এবং ছোট এলাচের দাম ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহে আটা, ময়দা ও হলুদসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, খোলা আটার দাম ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া খোলা আটা এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট আটার দাম বেড়েছে দশমিক ৯৮ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ৪৮ থেকে ৫৪ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া প্যাকেট আটা এখন ৪৮ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা ময়দার দাম ২ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে এখন ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তহ আগে খোলা ময়দার কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ছিলো বলে টিসিবিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

গত এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আমদানি করা আদার দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা আদার দাম ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে এখন ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এই আদার কেজি ছিলো ৭০ থেকে ১০০ টাকা।

এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা হলুদের দাম ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে কেজি ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, দারুচিনির দাম ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে ৪২০ থেকে ৫০০ টাকা, লবঙ্গের দাম ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা এবং চিনি ১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে ৮০ থেকে ৮২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোডশেডিংয়ে স্বস্তি দিতে ওয়ালকার্টে ওয়ালটন-মার্সেল পণ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়
পরবর্তী নিবন্ধ৫ বছরে বৈদেশিক ঋণ বেড়ে দ্বিগুণ