নিজস্ব প্রতিবেদক : লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এরই অংশ হিসেবে দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী দুই বাণিজ্যিক সংগঠন রিও ডি জেনিরো চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও সাও পাওলো চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে দুটি চুক্তি সই করেছে এফবিসিসিআই।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রাজিল সফররত এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সমঝোতা চুক্তি দুটিতে সই করেন। গত ২০ জুলাই ব্রাজিলের দ্বিতীয় রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে ‘রিও ডি জেনিরো চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ ও ২১ জুলাই ব্রাজিলের বন্দরনগরী সাও পাওলোতে ‘সাও পাওলো চেম্বার অব কমার্স’ এর সঙ্গে এ দুটি চুক্তি সই করা হয়।
রিও ডি জেনিরো ও সাও পাওলোতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসার উপস্থিতিতে চুক্তি দুটি সই হয়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ব্রাজিল বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শাহরিয়ার আহমেদ।
এরআগে ব্রাজিলের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা অ্যাপেক্স ব্রাজিল ও ব্রাজিলিয়ার শিল্পখাতের শীর্ষ প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রি কনফেডারেশনের (সিএনআই) সঙ্গে বৈঠক করেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন। এসব বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা ও সেগুলোর সম্ভাব্য সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
চুক্তি সইয়ের ফলে দুদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আদান-প্রদান এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে বিশ্বাস করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের এখন নতুন বাজার আবিষ্কার ও সম্প্রসারণ প্রয়োজন। রপ্তানিপণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ও সুলভে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির উৎস খুঁজে বের করা দরকার। বিশ্বের দশম শীর্ষ অর্থনীতির দেশ হিসেবে ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে নতুন গতি সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে ব্রাজিলের মাধ্যমে দক্ষিণ আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশের উপস্থিতিও জোরালো হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের নেতৃত্বে গত রোববার ব্রাজিলের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল।