রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। যা এর আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।

সদ্য শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ৫১ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হলেও প্রকৃত রফতানি ৬০ বিলিয়নেরও বেশি হয়েছে।

বুধবার (২০ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পণ্য খাতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য ২০২১-২২ সালের প্রকৃত আয় থেকে ১১.৩৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করে ৫৮ বিলিয়ন ডলার; আর সেবাখাতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য ২০২১-২২ সালের প্রকৃত আয় থেকে ১২.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করে ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাক্কলন করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে পণ্য ও সেবা খাত মিলে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের প্রকৃত আয় থেকে ১০.১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় মোট ৬৭ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় হবে আশা করা যায়।

তিনি বলেন, করোনার কারণে প্রায় দু’বছর অর্থনৈতিক সংকোচন অবস্থা থেকে উত্তরণের ফলে বাজারে ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানিতে এ অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইউরোপে দাবদাহে, বিশ্বে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩৪.৩৮ শতাংশ বেশি ছিল। পণ্য খাতে ৪৩.৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫২.০৮ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৯.৭৩ শতাংশ বেশি। সেবা খাতে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬.৬৭ শতাংশ বেশি। পণ্য ও সেবা খাত মিলে ৫১ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬০.০৮ বিলিয়ন ডলার রফতানি হয়েছিল যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭.৮০ শতাংশ বেশি।

টিপু মুনশি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি উত্তরণের পথে থাকলেও আরও কিছুদিন এ সংকট থাকবে মর্মে বিভিন্ন অংশীজন মত প্রকাশ করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যহত হওয়ায় বিভিন্ন ধরণের পণ্যের বিশেষত: খাদ্য দ্রব্যের দাম বাড়ছে। এতে বিশ্বের উন্নত দেশ, যেমন- ইউরোপ ও আমেরিকায় বাড়ছে মূল্যস্ফীতি এবং কর্মহীন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা। ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রদান করবে। সরকারি এবং বেসরকারি খাতের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে মর্মে আশা করা যায়।

আইএমএফের মতে, ২০২২ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। আর ২০১৩ সালে তা আরও কমে দাঁড়াতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে। সামগ্রিক দিক বিশ্লেষণ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের রফতানি খাতে নিম্নরূপ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনবায়নযোগ্য জ্বালানিতে পোশাকশিল্পকে সাহায্য করবে হুয়াওয়ে টেক
পরবর্তী নিবন্ধ৩০ হাজার টন সার ও ৫০ হাজার টন গম কেনার অনুমোদন