নিজস্ব প্রতিবেদক : রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের মাধ্যমেই ডলারের মূল চাহিদা পূরণ হবে বলে মনে করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডলারের দাম নিয়ে নানান উদ্যোগ নিলেও কাজ হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অপেক্ষা করতে হবে, কাজ হবে। এগুলো কারা করছে, সেখানে কী উদ্যেশ্য আছে- জানি না। এখন কী অব্যবস্থাপনা ছিল সেগুলো আমরা দেখছি। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি এগুলো যাতে আর না হয় সেগুলো দেখছি। মার্কেটে ডিমান্ডের ওপর ভিত্তি করে সাপ্লাই দিতে হবে, এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না। এগুলো যদি আর্টিফিসিয়াল পর্যায়ে নিয়ে যায় আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। এগুলো নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন মেশিনারিজ আছে সেগুলো কার্যকর হবে। আর সেগুলো কার্যকর হলেই কমে আসবে।
তিনি বলেন, আমরা দেখি যখন আমদানি করা প্রয়োজন, তখন (কখনো কখনো) ডলারের দাম বাড়িয়ে আমদানির ব্যবস্থা করা হয়। যখন বাধা দেওয়া হয় তখন এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে নিয়ে তথ্য গোপন করে এলসি খোলার ব্যবস্থা করা হয়, এগুলো ঠিক নয়। এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে করে এগুলো করতে না পারে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, আমাদের যে খরচ সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ প্রয়োজন, আমাদের দেশে কিছু পণ্য আমদানি করতে হয়। এগুলোর জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তা আমাদের কাছে আছে। কী পরিমাণ অর্থ লাগবে, আমরা সেগুলো কোথায় পাবো- সেটি হলো প্রশ্ন। আমাদের রপ্তানি বেড়েছে, রপ্তানি পণ্যের বিপরীতে কিছু আমদানি পণ্য থাকে। কিন্তু নেট রপ্তানিতে সেটা আমাদের পক্ষে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্স আমাদের বড় খাত। আমরা বিশ্বাস করি এ বছর আমাদের রেমিট্যান্স অনেক বাড়বে। এরই মধ্যে যেসব শ্রমিক বিদেশে গেছেন, তাদের সংখ্যাও বেশি। তারা করোনার পরেই গিয়েছেন। তারা আস্তে আস্তে সেখানে সেটেল হয়ে রেমিট্যান্স পাঠাবেন। আমরা বিশ্বাস করি রেমিট্যান্স ও রপ্তানির মাধ্যমেই আমাদের মূল চাহিদা পূরণ হবে।