নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদুল আযাহা ছুটি শেষ হয়েছে তিনদিন ধরে, খুলেছে ব্যাংক-বীমা, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে ব্যাংক পাড়ায় এখনো ছুটির আমেজ কাটেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী, গুলশান ও মতিঝিল, দিলকুশা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে আবার জমে উঠবে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম মনে করেন, ব্যাংক বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম বলেন, ৪ দিন ছুটির পর প্রথম দুইদিন গ্রাহক উপস্থিত কম থাকলেও তৃতীয় দিন অনেক গ্রাহক ছিল। রেজাউল আরও বলেন, ব্যাংকারদের ৯০ শতাংশই কাজে যোগ দিয়েছেন। ঈদের ছুটি শেষ হলেও স্বাভাবিক ব্যস্ততা ফিরতে হয়ত আগামী রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা তুলতে আসা গ্রাহকের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছে।
রূপালী ব্যাংকের মহাখালী শাখার ম্যানেজার সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঈদের ছুটির পর প্রথম দুইদিনে তেমন গ্রাহক ছিল না বৃহস্পতিবার গ্রাহক কিছুটা বেড়েছে আগামী সপ্তাহ থেকে ব্যাংকের গ্রাহক আগের মতো স্বাভাবিক হবে এখন অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটিতে আছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকেও একই চিত্র দেখা গেছে। বেশির ভাগেই যারা এসেছে, তারা নিজেদের মধ্যে কুশলবিনিময় আর আলাপ আলোচনায় ব্যস্ত সময় পার করেন। তবে ব্যাংকের অন্যান্য কর্যক্রমের মত লেনদেন কম থাকলেও সঞ্চয়পত্রের মুনাফা তুলতে গ্রাহকের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও এদিন চিরচেনা ব্যস্ততা ছিল না। গ্রাহকদের জন্য রাখা আসনও ছিল অনেকটা খালি। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে ঢুঁ মেরে গ্রাহক দেখা গেছে হাতে গোণা, ফলে কাজের চাপও কম। পল্টন টাওয়ারে নির্ধারিত সময়ে ব্যাংক খুললেও তেমন কোনো গ্রাহক আসেননি বলে জানালেন পূবালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা। সোনালী ব্যাংকে আসা এক গ্রাহক খালেদা আক্তার জানান, ব্যাংকে এলাম একটা ডিপোজিটের টাকা জমা দিতে, ৫ মিনিটেই কাজ শেষ। ঢাকায় লোকজন কম, রাস্তায় যানজট নেই; ব্যাংকেও ভিড়ও কম। কম সময়ে কাজ সেরে ফেলেছি। গত রোববার দেশে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযাহা।