নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জিসিবি এলাকায় ৫ বছরের জন্য ৬ কোম্পানি থেকে ৬ লটে বার্থ অপারেটর (কন্টেইনার) ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৬২ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৫ টাকা।
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত পৃথক ছয়টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ১৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। সরকারি ক্রয় কমিটিতে ১৬টি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকারি ক্রয় কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ৭টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৪টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৩টি প্রস্তাবের মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৫৬৩ কোটি ৪৭ লাখ এবং দেশীয় ব্যাংক, এডিবি ও বিশ্বব্যাংক ঋণ ১ হাজার ৬০ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মেসার্স এফ কিউ খাঁন অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেডের কাছ থেকে ৭৬ কোটি ৯৫ লাখ ২৮ হাজার ৯৯০ টাকায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জিসিবি এলাকায় লট নম্বর-১ (বার্থ নম্বর-৬)-এ ৫ বছরের জন্য বার্থ অপারেটর (কন্টেইনার) ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অপর প্রস্তাবে ফজলীসন্স লিমিটেডের কাছ থেকে ৭৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৫ টাকায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জিসিবি এলাকায় ৫ বছরের জন্য লট নম্বর-২ (বার্থ নম্বর-৯) এ বার্থ অপারেটর (কন্টেইনার) ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জিসিবি এলাকায় ৫ বছরের জন্য ৩ নম্বর লটে মেসার্স বশির আহমেদ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ৭৭ কোটি ৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৫ টাকায়, ৪ নম্বর লটে মেসার্স এ অ্যান্ড জে ট্রেডার্স-এর কাছ থেকে ৭৭ কোটি ৮৮ হাজার ২৩০ টাকায়, ৫ নম্বর লটে এভারেস্ট পোর্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের কাছ থেকে ৭৭ কোটি ৬ লাখ ৩ হাজার ৯১০ টাকায় এবং ৬ নম্বর লটে এম এইচ চৌধুরী লিমিটেডের কাছ থেকে ৭৭ কোটি ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩৫ টাকায় বার্থ অপারেটর (কন্টেইনার) ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃক “বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ)” প্রকল্পে প্যাকেজ নম্বর-S1A (লট-২ এবং ৩) এর আওতায় যৌথভাবে মালয়েশিয়া জেডপিএন, নেদারল্যান্ডসের ডেমাস এবং বাংলাদেশের জেপিজেড কনসাল্টিংকে ৮২ কোটি ২৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৯৬ টাকায় প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।