আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের মুখে প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্পে আসতে পারে ব্যাপক পরিবর্তন। আগামী দুই বছরে এ খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ হতে পারে ৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। সম্প্রতি স্বাধীন জ্বালানি গবেষণা সংস্থা রিস্ট্যাড এনার্জি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিজনেস ইনসাইডারের।
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ অবকাঠামোগত খাতে স্বল্প বিনিয়োগ। এর ফলে এবারের শীতে বড় সমস্যায় পড়তে পারে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা সবাই।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, ওপেক প্লাসের অতিরিক্ত উৎপাদন সক্ষমতা আর বাকি নেই বললেই চলে। এর জন্য শিল্পটিতে দীর্ঘদিন ধরে স্বল্প বিনিয়োগকে দায়ী করেছে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর এই জোট।
গত বুধবার এক নোটে রিস্ট্যাড বলেছে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশগুলো নির্ভরযোগ্য জ্বালানি উৎস সুরক্ষিত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে। এর ফলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) নতুন অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়তে চলেছে।
বিশ্লেষকরা আরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ২০৩০ সালে বিশ্বব্যাপী মোট প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন দৈনিক ১ কোটি ৪৭ লাখ ব্যারেল দাঁড়াতে পারে, যা ২০২১ সালে উৎপাদিত দৈনিক ৮৭ লাখ ব্যারেলের প্রায় দ্বিগুণ। আর ২০৩৪ সাল নাগাদ এটি আরও বেড়ে দৈনিক সর্বোচ্চ ১ কোটি ৬৩ লাখ ব্যারেলে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এতে এশিয়া-ইউরোপের খুব একটা উপকার হবে না বলে জানিয়েছে রিস্ট্যাড। সংস্থাটি বলেছে, এটি বিশ্বের শীর্ষ এলএনজি রপ্তানিকারক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আমেরিকার দেশগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রায় ৩০ শতাংশ সরবরাহ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসময় এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সরবরাহ দাঁড়াবে প্রায় ২৫ শতাংশ।
এ পর্যন্ত বিনিয়োগের বেশিরভাগই হয়েছে অভ্যন্তরীণভাবে। এক্সন মোবিল ও কাতার এনার্জির গোল্ডেন পাস এলএনজি প্রকল্পের জন্য সম্প্রতি টেক্সাসে এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। ভেঞ্চার গ্লোবালের প্লাকুমাইনস এলএনজি প্রকল্প বাস্তবায়নে লুইজিয়ানায় ঢালা হয়েছে আরও ১ হাজার ৩২০ কোটি ডলার।