নিজস্ব প্রতিবেদক : তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেছেন, পোশাকশিল্প বিশ্বব্যাপী যে প্রশংসা অর্জন করেছে, তার মূলে রয়েছে শিল্পের অনন্য অর্জন, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ পোশাক শিল্পের একটি প্রধান অগ্রাধিকার। বছরের পর বছর ধরে শিল্পটি পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য, সুষম শিল্প সম্পর্ক নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে একটি অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। শিল্পে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্য মোকাবিলা এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ব্র্যাক আয়োজিত তৈরি পোশাকশিল্প শ্রমিকদের কল্যাণ বিষয়ক এক জাতীয় পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ-এর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহছানে এলাহী এবং সিপিডি’র পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
শহিদউল্লাহ আজিম তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে অনেক পোশাক কারখানা তাদের শ্রমিকদের মাসিকের পরিচ্ছন্নতা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করছে। কারখানাগুলো তাদের ভবনের প্রাঙ্গণের মধ্যে শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, চক্ষুসেবা সুবিধা, শিশুদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার, ন্যায্যমূল্যের দোকান প্রভৃতি পরিচালনা করছে। তাদের মধ্যে আবার অনেকেই শ্রমিক ও তাদের সন্তানদের জন্য স্কুল ও হাসপাতালও চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলোর জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে, যেখানে রপ্তানির বিপরীতে মোট এফওবি মূল্যের ০.০৩ শতাংশ সরাসরি কেটে এ তহবিলে জমা করা হয়। পোশাকশিল্প প্রতিবছর এই তহবিলে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার অবদান রাখছে, যা পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। তিনি পোশাক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বিমার (ইনজুরি বিমা নয়) উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় তহবিলের একটি অংশ বরাদ্দ রাখার জন্য শ্রম সচিবকে অনুরোধ জানান।
তিনি আরও বলেন, পোশাক শ্রমিকদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিজিএমইএ সরকার এবং ইউএনএফপিএ, এসএনভি নেদারল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, মায়া, মনের বন্ধু, জায়নাক্স হেলথ, কমন হেলথ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে কাজ করছে। এ ধরনের কর্মসূচিগুলো শুধু পাইলট প্রকল্পে সীমাবদ্ধ না রেখে ভবিষ্যতে যেন দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত রাখা যায়, সেজন্য তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।