অর্থনীতি ডেস্ক : রওয়ে ও যুক্তরাজ্যের গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে, এতে ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম আরেক দফা বেড়েছে।
কাজাখস্তান থেকে রাশিয়া হয়ে জ্বালানি তেল বহন করে আনার একটি পাইপলাইন সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নতুন করে জ্বালানি সরবরাহজনিত বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইউরোপ।
আগের বছরের তুলনায় চলতি বছর ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ ৭৫ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার পর তেল পাইপলানের এ বিঘ্ন বিশ্বের সবচেয়ে শিলোন্নত মহাদেশটির জ্বালানি উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
সিপিসি (ক্যাস্পিয়ান পাইপলাইন কনসোর্টিয়াম) পাইপলাইন সিস্টেম সোমবার জানায়, তাদের কৃষ্ণসাগর টার্মিনালের তিনটি মুরিং পয়েন্টের মধ্যে দুটি থেকে তেল রপ্তানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ১ শতাংশ জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে সিপিসি আর এই কনসোর্টিয়ামের বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার রাশিয়ার পাইপলাইন ফার্ম ট্রান্সনিয়েফ্ত।
রাশিয়া, ইউক্রেইনে তাদের কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর পশ্চিমাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ নিতে দাম বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে জ্বালানি সরবরাহ সীমিত করছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর। রাশিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সরবরাহ সীমিত হওয়ার জন্য পশ্চিমাদের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাকে ও বিভিন্ন কারিগরি সমস্যাকে দায়ী করেছে।
ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ কমার পর গত সপ্তাহে দেশটির রপ্তানিকারক কোম্পানি গ্যাজপ্রম নর্ড স্ট্রিম ওয়ান পাইপলাইন অনির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। এই পাইপলাইনটি বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে জার্মানিতে গিয়েছে।
নরওয়ে ও যুক্তরাজ্যের গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। এতে সোমবার ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবার ব্রিটেনের স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় আশু বিতরণ করার কথা থাকা ব্রিটিশ গ্যাসের প্রতি থার্মের (১০০ কিউবিক ফিট প্রাকৃতিক গ্যাস) মূল্য ১২৫ পেন্স থেকে বেড়ে ৪৯০ পেন্সে দাঁড়ায়।
ইউক্রেইন গ্যাস ট্রান্সমিশন সিস্টেম অপারেটর বলেছে, তাদের ও পোলিস গ্যাস পাইপলাইন সিস্টেমের রাশিয়া থেকে ইউরোপের গ্যাস নেওয়া সক্ষমতা আছে এবং তারা নর্ড স্ট্রিম ওয়ান বন্ধের ক্ষতিপূরণ করতে পারবে।
তবে তারা অন্য রুটে গ্যাস রপ্তানি বাড়াবে কিনা, সে বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি গ্যাজপ্রম।