নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ক্রিকেট খেলায় দেখা যায় অনেক সময় মেডেনওভার যায়, যেখানে কোনো রানই করতে পারে না। আবার এমনও পরিস্থিতি দাঁড়ায়, ছয় বলে ৩৬ রান করা যায়। সুতরাং আমাদের সামনে সেই সুযোগটা রয়েছে ছয় বলে ৩৬ রান করার। আমাদের সমস্ত উপকরণ আছে, ইচ্ছেও আছে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনের শৈলপ্রপাত হলে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব আলী বলেন, আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত এসেছে। মূল্যবোধগুলোকে পদাঘাত করা হয়েছে। আজকে সময় এসেছে এগুলো রিকভারি করার। আমাদের মূল্যবোধ ধরে রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ করে আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা কাজ করছি। বিশ্বে আমরা গার্মেন্টস রপ্তানির ক্ষেত্রে তৃতীয় হয়েছি। এটা অনেক শক্তিশালী প্রতিযোগিতা। আবার এক মাসের ব্যবধানে আমরা দ্বিতীয়তে এসেছি।
তিনি বলেন, পর্যটনকে কেন্দ্র করে বিশ্বের অনেক দেশ বহু দূর এগিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা এর চেয়ে বেশি তথ্য উপাত্ত রয়েছে। অনেকের বক্তব্যই এসেছে এটি সবার সামনে তুলে ধরার জন্য। সামনে আমরা আরও চেষ্টা করব দীর্ঘ সময় পরিকল্পনা করে এই আয়োজন করার। একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে পর্যটনের জন্য ডেডিকেটেড করার চেষ্টা করব।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই কার্যক্রম প্রতিটি শহরে শহরে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের মধ্যে প্রতিভা আছে, সেটাতো সবাইকে জানাতে হবে। নিজের মধ্যে রাখলেতো হবে না। আমাদের দেশে যে সম্পদ আছে, প্রতিভা আছে তা সবাইকে জানাতে হবে। আমরা পর্যটনকে একটা টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা যথাসম্ভব আমাদের টার্গেটে পৌঁছাব। এটাই হোক আমাদের আজকের পর্যটন দিবসের প্রতিশ্রুতি।
পর্যটন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘কোভিড পূর্ববর্তী যে অব্যবস্থা ছিল আমরা সেখানে যেতে চাই না। তার চেয়ে অনেক এগিয়ে যেতে চাই। পর্যটনের উন্নয়নে মিডিয়া বেশি ভূমিকার রাখে।
গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সচিব বলেন, আমি অনুরোধ করব দেশের স্বার্থে আমরা যেন পজিটিভলি খবর প্রকাশ করি। পরিকল্পনা অনুযায়ী সবার সঙ্গে আলোচনা করে পর্যটন নিয়ে চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হয়েছে। ডিসেম্বরে সেই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে যাব।
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. জাবের প্রমুখ।