নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি ও জলবায়ু ন্যায়বিচার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি নির্ভরশীলতা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ জলবায়ুকর্মীরা। তারা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কার্যক্রম বন্ধ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি উৎসাহিত করা এবং জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ’সহ তিনটি জলবায়ু বিষয়ক সংগঠন আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে ‘দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের’ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার তরুণদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রকৃতি ও পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, দায়িত্বশীল আচরণ এবং পরিবেশ ধ্বংসের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। আর তরুণরাই পারে এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে।’

এ ছাড়া, তিনি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জীবন ও সম্পদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা তৈরি এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভিযোজনমূলক পদক্ষেপের জন্য তহবিল সরবরাহ করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য দ্রুত কার্যকর কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য উন্নত দেশগুলোকে আহ্বান জানান।

এ সময় ‘ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের’ সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ু সংকট আমাদের দেশ ও বিশ্বের জন্য একটি বড় দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। জলবায়ু সংকট কাটিয়ে উঠতে আমাদের দেশের জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভরতা বন্ধ করা এবং ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহিত করা জরুরি। একইভাবে দূষণকারী দেশগুলোর কাছ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এই পৃথিবী আমাদের। তাই এই পৃথিবীকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই আমরা বাংলাদেশের জন্য একটি সবুজ ভবিষ্যৎ এবং অভিযোজন অর্থের ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছি।’

’ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের’ পরিচালক ড. সালিমুল হক বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে দূষণকারী দেশগুলোর জন্যই মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর জন্য সরকার এবং জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি উভয়েই দায়ী। এজন্য তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। জলবায়ু সংকটের পেছনে প্রকৃত অপরাধী যারা, তাদের মোকাবিলার সময় এসেছে । এরা মুনাফার লোভে জেনেশুনে প্রকৃতি ও পরিবেশকে ধ্বংস করেছে।’

‘উই ওয়ান্ট ক্লাইমেট’ জাস্টিস’ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজপথে এবং অনলাইনে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু ধর্মঘটের অংশ হিসেবে স্থানীয় তরুণরা এই আহ্বানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহংকংকে ছাড়িয়ে এশিয়ার শীর্ষ অর্থনৈতিক কেন্দ্র সিঙ্গাপুর
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্বশান্তি নিশ্চিতে জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী