নিজস্ব প্রতিবেদক : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিক ও সময়োপযোগী পৃষ্ঠপোষকতায় পাটখাতের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করে অধিক সমৃদ্ধশালী করা সম্ভব হয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুট মিলস্ অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পাট) তসলিম কানিজ নাহিদা, বিজেএমএ চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন, বিজেএসএ চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিনসহ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, পাটখাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে। যদিও কালের পরিক্রমায় কৃত্রিম তন্তুর (পলিথিন) ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সর্বদা পাটের বাজারদর পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
মন্ত্রী বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এজন্য লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুত থেকে বিরত রাখা, ভেজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা, বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।