বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিতে সহযোগী হিসেবে থাকবে বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট

‘বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বিশ্বের অনেক দেশের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এ দেশ সর্বোচ্চ আইডিএ ঋণ গ্রহণকারী দেশের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ নিজেই তাদের অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন করবে, বিশ্বব্যাংক সহযোগী হিসেবে পাশে থাকবে।’

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।

তিনদিনের সফরে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আসেন মার্টিন রেইজার। তিনি গত পহেলা জুলাই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। এটিই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভায় মার্টিন রেইজার করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অদম্য অগ্রগতির সাফল্যগাথা অন্যান্য দেশকে জানাতে চায়। বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। বিশ্বের প্রধান এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

এ সময় অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, দুর্যোগ মোকাবিলা খাতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতা করার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিশেষত করোনাকালীন বাজেট সহায়তা, করোনা মোকাবিলা ও ভ্যাকসিন ক্রয়ে অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।

আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের আরও জোরদার ও ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ঢাকাকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

এ দ্বিপাক্ষিক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরও ৭৯ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি
পরবর্তী নিবন্ধএ মাসেই পুঁজিবাজারের আকার হবে ৮ লাখ কোটি টাকা