বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে চায় বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ঐক্যমত হয়েছে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড। কূটনৈতিক সম্পর্কের সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা শীর্ষক একটি সেমিনারে এই ঐক্যমত হয়েছে উভয় পক্ষ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি সরান চারেনসোয়ান এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মালেকা পারভীন।

সরান চারেনসোয়ান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন মডেলের আওতায় দুই দেশের মধ্যে আরও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

মালেকা পারভীন তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দেশ, যারা স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরও বেশি যোগাযোগ স্থাপনের গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এই সেমিনারের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের উভয় দেশের সরকার প্রদত্ত সেক্টর ভিত্তিক সুবিধাদি ও সম্ভাবনা সম্পর্কে আরও নিবিড়ভাবে জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

চারটি সেশনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে বক্তারা আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানে চুলালংকর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পিটি শ্রীসাঙ্গাম, বিনিয়োগ বোর্ড, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, থাই হালাল খাবার উৎপাদক ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনেরর প্রতিনিধিসহ থাই সরকারি-বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ উন্নয়ন অনুবিভাগের পরিচালক আরিফুল হক ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হন। তিনি থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ, সম্ভাবনা, বিনিয়োগ প্রণোদনা, বিনিয়োগকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগের ক্ষেত্র সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দূতাবাসের কর্মকর্তা, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট থাই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ব্যাংকক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডলারে নয়, বরং জাতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করতে চায় চীন-রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ব্লক
পরবর্তী নিবন্ধমিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ চাই না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী