হংকংকে ছাড়িয়ে এশিয়ার শীর্ষ অর্থনৈতিক কেন্দ্র সিঙ্গাপুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হংকংকে ছাড়িয়ে এশিয়ার শীর্ষ অর্থনৈতিক ও বিশ্ববাণিজ্যের তৃতীয় কেন্দ্র হয়ে উঠলো সিঙ্গাপুর। যেখানে এই র‌্যাঙ্কিংয়ে নিউইয়র্ক এবং লন্ডনকে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রাখা হয়েছে। গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল সেন্টার ইনডেক্সের (জিএফসিআই) তালিকায় হংকং করোনা মহামারি ও বিদেশ ভ্রমণে বিধিনিষেধের কারণে এবার চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এই তালিকায় সান ফ্রান্সিসকো শীর্ষ পাঁচের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।

হংকং একটি গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল হাব হিসাবে তার পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছে। এটি করোনা মহামারির নিয়মনীতি ধরে রাখার চেষ্টায় চীনের নেতৃত্ব অনুসরণ করছে। যদিও বিশ্বের বাকী অংশে করোনা মহামারি অনেকটা স্তিমিত। হংকংয়ে আগামী নভেম্বরে বিশ্বের ব্যাংকিং ব্যবস্থার একটি শীর্ষ সম্মেলনে, শীর্ষ নির্বাহীদের পাঠানোর জন্য প্রায় ২০টি নেতৃস্থানীয় সংস্থার কাছ থেকে অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে। তবে কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধ সহজ করার বিষয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। ভ্রমণকারীর সংখ্যাও কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অপরদিকে, সিঙ্গাপুর ২০২২ সালে ৪০ লাখের বেশি ভ্রমণকারীর আশা করছে। মিলকেন ইনস্টিটিউট এশিয়া সামিট, ফোর্বস গ্লোবাল সিইও কনফারেন্স এবং সিঙ্গাপুর গ্র্যান্ড প্রিক্সসহ হাই-প্রোফাইল ইভেন্টগুলো শহরটি ভ্রমণের গন্তব্য হিসাবে উন্নীত করতে সাহায্য করবে।

জিরো কোভিড নীতির কারণে বিশ্বের অন্যান্য শহরের চেয়ে বেশি কড়া বিধিনিষেধ সত্ত্বেও চীনের সাংহাই, বেইজিং এবং শেনজেন শহর জিএফসিআই-এর শীর্ষ ১০-এ অবস্থান বজায় রেখেছে।

প্যারিস শীর্ষ ১০ এ ফিরে এসেছে, যেখানে টোকিও ১৬তম স্থানে রয়েছে। সিডনি ১০ম স্থান থেকে লাফিয়ে ১৩ নম্বরে উঠে এসেছে। দুবাই ও আবুধাবি মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ রাজত্ব করছে। যথাক্রমে ১৭ তম এবং ৩২ তম স্থানে রয়েছে শহর দুটি।

ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার আর্থিক কেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং মস্কো ২২তম স্থান থেকে ৭৩-এ এবং সেন্ট পিটার্সবার্গ ১৭তম স্থান ১১৪-তে নেমে এসেছে।

বার্বাডোস, জিয়ান ও উহান তালিকার নীচের তিনটি অবস্থানে রয়েছে।

থিঙ্ক ট্যাঙ্ক জেড/ইয়েন পার্টনারস এবং চায়না ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট এই সূচকে ১১৯টি অর্থনৈতিক কেন্দ্রের তথ্য তুলে ধরে। এটি অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিক পরিষেবা খাতের সংশ্লিষ্টদের সংগ্রহীত তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে।

তালিকার প্রথম ২০টি কেন্দ্র হলো নিউইয়র্ক, লন্ডন, সিঙ্গাপুর, হংকং, সান ফ্রান্সিসকো, সাংহাই, লস অ্যাঞ্জেলস, বেইজিং, শেনজেন, প্যারিস, সিউল, শিকাগো, সিডনি, বোস্টন, ওয়াশিংটন ডিসি, টোকিও, দুবাই, ফ্রাঙ্কফ্রুট, আমস্টারডাম এবং জেনেভা।

সূত্র: ব্লুমবার্গ

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাস উল্টে ২০ যাত্রী আহত
পরবর্তী নিবন্ধনবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি ও জলবায়ু ন্যায়বিচার দাবি