বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে বাজেট সহায়তা বাড়াতে হবে: আইএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দার হাত থেকে বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে দেশে দেশে বাজেট সহায়তা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ গ্যারান্টি এজেন্সির (এমআইজিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ জুনায়েদ কামাল আহমেদ।

জুনায়েদ কামাল আহমেদ বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে অর্থনীতি মন্দায় ভুগছে বিশ্ব। এজন্য বিশ্বব্যাংক সদস্য দেশগুলোকে আরও বাজেট সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি মানুষের কল্যাণ হয় এমন প্রকল্পে সরকারি অর্থ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে আইএমএফ।

তিনি আরও বলেন, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতি ২০২৩ সালে সংকট আরও বাড়তে পারে। ২০২৩ সালে বিশ্ব জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) কমে হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি কমলেও এখনো স্বস্তিতে আছে বলে মনে করেন জুনায়েদ কামাল আহমেদ।

বিশ্ব অর্থনীতির যখন এ পূর্বাভাস তখন বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনে করেন জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির প্রশ্নে এখনো স্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ। তবে, তা ধরে রাখতে সরকারকে আরও জনমুখী হতে হবে।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে-ওলিভিয়ার গোরিনকাস জানান, বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ২০২১ সালের ৬ শতাংশ থেকে কমে এবারে হবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। তবে ২০২৩ সাল হবে আরও কঠিন হবে। ধারাবাহিকভাবে কমে ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ২ দশমিক ২ শতাংশে। এছাড়া করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া ইউক্রেন-যুদ্ধের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ববাণিজ্য।

তিনি আরও জানান, হিসাব বলছে ২০২২ সালে সারাবিশ্বে জীবন-যাত্রার খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৮ শতাংশে। ২০২৩ সালে তা কিছুটা কমে ৬ ঘরে এলেও উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি কমবে। তার প্রভাবে চাপে থাকবে পুরো বিশ্ব অর্থনীতি।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আইএমএফ মনে করে— গেলো বছরের তুলনায় এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নেমে আসবে অর্ধেকে। জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে অস্থির পণ্য বাজারের জন্যেও খুব বেশি সুখকর নয়। সংস্থাটি বলছে— ২০২২ সালে বিশ্ব মূল্যস্ফীতি দাড়াঁবে প্রায় ৯ শতাংশে।

ওয়াশিংটনের এবারের বৈঠকে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বেশ কয়েকটি খাতে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাজেট সহায়তা বাড়ানোও প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ ফাইন্যান্স ও আশ্রয় এনজিও’র সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেলো ৪৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান