নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাজ্যে পোশাক রফতানি বাড়ানোর বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে বিজিএমইএ সভাপতি এই আহ্বান জানান। এ সময় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, পরিচালক ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী, পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক তানভীর আহমেদ, পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান, ব্রিটিশ হাইকমিশনের সেলস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ডিরেক্টর, ড্যান পাশা এবং বিটিএমএ’র পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তারা যুক্তরাজ্যের বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, যুক্তরাজ্যে পোশাক রফতানি বাড়ানোর সম্ভাব্য উপায়গুলো, শিল্পের চ্যালেঞ্জ এবং দীর্ঘমেয়াদে প্রতিযোগিতামূলক থাকার জন্য শিল্পটি যেসব বিষয়ে মনোযোগ প্রদান করছে, সেগুলোসহ বাণিজ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণ, শুল্ক ব্যবস্থায় সম্ভাব্য পরিবর্তন এবং এলডিসি-পরবর্তী যুগে বাংলাদেশের রফতানি প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখা এবং বৈশ্বিক বাজারে অবস্থান বজায় রাখার বিষয়ে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য পোশাক শিল্পের প্রশংসা করেছেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে তৈরি পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকারগুলো, বিশেষ করে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির মানোন্নয়ন এবং দক্ষতা উন্নয়নসহ ভ্যালু চেইন এগিয়ে নেওয়ার উপর শিল্পের গুরুত্ব প্রদানের বিষয়টি অবহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রদানের জন্য, বিশেষ করে বিদ্যমান জিএসপির পরিবর্তে নতুন “ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম”-এর জন্য হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে, এটি বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্রিটিশ সরকারের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে বিজিএমইএ সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।