গুজব ছড়িয়ে দরপতন ঘটানো হচ্ছে ফ্লোর প্রাইস ব্যাপারে বিএসইসির নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া উচিত: মোহাম্মদ এ হাফিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের শেয়ারবাজার আগের কার্যদিবসে উত্থান হলেও গতকাল সোমবার ব্যাপক দর পতন হয়েছে। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচক কমলেও টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। আর লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অর্ধেকের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৪৪৯.৬৩ পয়েন্টে। এবিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ বলেন, গুটি কয়েক জন গুজব ছড়িয়ে শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটাচ্ছে। এজন্য ফ্লোর প্রাইস ব্যাপারে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসির উচিত নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া উচিত। যাতে কেউ বাজারটাকে নিয়ে আতঙ্ক তৈরি না করতে পারে। হাফিজ আরও বলেন, বাজার কিছু চক্রের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। বাজারে লেনদেন হচ্ছে গুটি কয়েক কোম্পানির শেয়ার। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার তেমন লেনদেন নেই। এটা বাজারের জন্য ভালো লক্ষণ না। বিনিয়োগকারীদের উচিত সিন্ডিকেটের পেছনে না ঘুরে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগ করা। এদিকে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম ।
তিনি বলেন, বাজারে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে একটি চক্র গুজব ছড়িয়েছে, তারা ফায়দা লুটে নেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রকৃতপক্ষে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বরং শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইস পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৯.৮৭ পয়েন্ট বা ১.৮২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৪৪৯.৬৩ পয়েন্টে।
ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৭.৬১ বা ১.৯১ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭.৪৩ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪১৫.৮৫ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩১৪.১৩ পয়েন্টে। ডিএসইতে এক হাজার ৪১৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৪৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১৬৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকার।

ডিএসইতে ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৯টির বা ৫.১৬ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৬৭টির বা ৪৫.৩৮ শতাংশের এবং ১৮২টির বা ৪৯.৪৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৮২.৮৩ পয়েন্ট বা ১.৪৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ০৪৯.৭৬ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৪৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১টির দর বেড়েছে, কমেছে ১১৯টির আর ১০৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোনার্ক মার্ট পরিদর্শন করলেন বাটার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ই-কমার্স পরিচালক ইন্দারপ্রীত সিং
পরবর্তী নিবন্ধভিসতা টিভিতে ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ২৫ শতাংশ ছাড়