চলে গেলেন অভিনেতা মাসুম আজিজ

অভিনেতা মাসুম আজিজ

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মাসুম আজিজের মরদেহ আজ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহ নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সবার শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তার মরদেহ নেয়া হবে পাবনার গ্রামের বাড়িতে। সেখানেই তার দাফন হবে।’
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা মাসুম আজিজের।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।

তিনি জানান, সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মৃত্যু হয় এই অভিনেতার।

গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মাসুম আজিজের মরদেহ আজ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহ নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সবার শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তার মরদেহ নেয়া হবে পাবনার গ্রামের বাড়িতে। সেখানেই তার দাফন হবে।

স্কয়ার হাসপাতালে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন মাসুম আজিজ।

তার স্বাস্থ্যের অবস্থা অপরিবর্তিত বলে শনিবার জানিয়েছিলেন স্ত্রী সাবিহা জামান। স্বামীর চিকিৎসার খরচ চালিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন তিনি।

সাবিহা জামান শনিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, মাসুম আজিজের স্বাস্থ্যের অবস্থা আগেই মতোই রয়েছে; কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখনও লাইফ সাপোর্টেই রয়েছেন তিনি।

চিকিৎসকরা কী জানিয়েছেন জানতে চাইলে সাবিহা জামান বলেছিলেন, ‘ডাক্তাররা আশাবাদী। তারা বলেছেন প্রপার টিটমেন্ট চালিয়ে যেতে পারলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমরাও সেটা আশা করছি।’

চলতি বছরের শুরুর দিকে মাসুম আজিজের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। ১০ মাস ধরে তার চিকিৎসা চলছিল।

এরই মাঝে কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেতা। সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্রও পেয়েছিলেন। পরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে চলতি মাসের শুরুতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে এই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পরিবারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে জানিয়ে মাসুম আজিজের স্ত্রী বলেছিলেন, ‘প্রায় ১০-১১ মাস হলো তার চিকিৎসা চলছে। আপনারা তো জানেন এই চিকিৎসা কেমন ব্যয়বহুল। এ অবস্থায় আমরা চাই তার উন্নত, প্রপার টিটমেন্ট চালিয়ে যেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন দৃষ্টি দেন।’

অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সকালে মাসুম আজিজকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। ক্যানসারের পাশাপাশি হৃদরোগও ছিল বর্ষীয়ান এই অভিনেতার। ২০১৭ সালে বাইপাস সার্জারি হয়েছিল তার।

শুধু অভিনেতা নন, মাসুম আজিজ চিত্রনাট্যকার হিসেবেও সুপরিচিত। তিনি একাধারে মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

১৯৮৫ সালে প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন মাসুম আজিজ। দীর্ঘ কর্মজীবনে চার শতাধিক নাটকে অভিনয় করেন তিনি।

ঘানি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে যৌথভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মাসুম আজিজ।

অভিনয়ে অবদানের জন্য চলতি বছর একুশে পদক পান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৫ বছর পর মেসি-রোনালদোকে ছাড়া পোডিয়াম
পরবর্তী নিবন্ধরূপপুর প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের পরমাণু চুল্লি উদ্বোধন