নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের দাম আরেক দফা বাড়লো। প্রতি লিটারে ফুয়েলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ৯ সেন্ট কমিয়ে এক ডলার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে দেখা যায়— ২৬ অক্টোবর থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গেল সেপ্টেম্বর মাসে প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বিপিসি সূত্রে জানা গেছে— অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রেই দাম বেড়েছে জেট ফুয়েলের। দাম বাড়ানোর পর বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েল কিনতে খরচ হচ্ছে ১৩০ টাকা। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য নতুন করে দাম ৯ সেন্ট কমানো হয়েছে।
গত ১৭ মে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ দশমিক শূন্য ৯ মার্কিন ডলার। এর পরে কয়েক দফায় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য জেট ফুয়েলের দাম বাড়লেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য জ্বালানির দাম বাড়েনি।
চলতি বছরের ৭ এপ্রিল জেট ফুয়েলের দাম বেড়ে ১০০ টাকা হয়। ঠিক ৩৯ দিনের মাথায় আবার বাড়ানো হয় উড়োজাহাজের জ্বালানির দাম। গত ১৭ মে ৬ টাকা বেড়ে প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম হয় ১০৬ টাকা।
গত জুন মাসে জেট ফুয়েলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ১১১ টাকা, জুলাইয়ে তা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়। পরের মাস আগস্টে কমিয়ে ১২৭ এবং সেপ্টেম্বরে আরও কমিয়ে ১২৫ টাকা করে।
এর আগে গত ৮ মার্চ জেট ফুয়েলের দাম প্রতি লিটার ৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয় ৮৭ টাকা হয়। এক মাস আগে ৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানিটির দাম ৭৩ টাকা থেকে ৮০ টাকা করা হয়েছিল। গত বছরের ডিসেম্বর ও আগস্টেও দাম বাড়ানো হয়েছিল। ২০২১ সালের এপ্রিলে জেট ফুয়েলের দাম ছিল প্রতি লিটার ৬১ টাকা।
করোনা মহামারির দুই বছরে জেট ফুয়েলের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে টিকিটের দামে। ফ্লাইট পরিচালনা ব্যয়ের একটা বড় অংশ নির্ভর করে জেট ফুয়েলের দামের ওপর। জেট ফুয়েলের দাম বাড়লে এয়ারলাইন্স পরিচালনার খরচও বেড়ে যায়। এর জেরে বাড়ে টিকিটের দামও।