আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রপ্তানিকারকদের এই বড় সংস্থাটি দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে। তাছাড়া স্বেচ্ছায় এর সদস্য দেশগুলো উৎপাদন আরও কমাতে পারে। ওপেক যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তা ২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ। সোমবার (৩ অক্টোবর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, এ বিষয়ে ৫ অক্টোবর বৈঠকে বসবে ওপেক। তেলের দামে পতন ও বাজারে বিদ্যমান অস্থিতিশীলতার কারণেই সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
এর আগে ওপেক প্লাস ও তার মিত্ররা জ্বালানি তেলের উৎপাদন বাড়াতে অস্বীকৃতি জানায়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সর্বোচ্চ ভোক্তাদেশগুলো বিশ্ববাজারে দাম কমানোর লক্ষ্যে তেলের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়েছিল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপরই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি বেড়ে ১২০ ডলারের ওপরে উঠে যায়। যদিও তা এখন কমে ৯০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারগুলো সুদের হার বাড়িয়েছে ব্যাপকভাবে। এতে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি তীব্র হয়েছে। কমেছে তেলের চাহিদা।
তাছাড়া বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দামও বেড়ে ২০ বছরের মধ্যে শক্তিশালী হয়েছে। এতে অনেক দেশের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায়ও জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে গেছে।
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পরও ওপেক প্লাস একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সে সময় সংস্থাটি উৎপাদন কমায় দৈনিক এক কোটি ব্যারেল।