বরিশাল প্রতিনিধি : বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে বরিশালে ৪ ও ৫ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার বাস ধর্মঘট ডাকার পর এবার একই সময়ে তিন চাকার যান (থ্রি হুইলার) চলাচল বন্ধেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাস মালিকদের হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই ধর্মঘট ডেকেছে বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, টেক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়ন।
রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও থ্রি হুইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস।
এদিকে বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, টেক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোশফিকুর রহমানের (দুলাল) সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশাল জেলার সকল রুটের থ্রি-হুইলার আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বন্ধ রাখার জন্য সব মালিক ও শ্রমিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই দুইদিন সকল রুটের থ্রি-হুইলার গাড়ি বন্ধ থাকবে।
দাবিগুলো হলো- বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক চালকদের হয়রানি বন্ধ করা, মেট্রোপলিটন এলাকায় নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা করা, মেট্রোপলিটন এলাকায় সব রুটে থ্রি-হুইলার গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা, গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে ভাড়ার চার্ট প্রদান করা, সহজ শর্তে দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা।
শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক সমিতি যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫ দফা দাবিতে ৪ ও ৫ নভেম্বর সব ধরনের থ্রি হুইলার চলাচলে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়া হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল বন্ধের দাবিতে আগামী ৪–৫ নভেম্বর বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বাসমালিকদের সংগঠন বরিশাল বাস মালিক গ্রুপ। জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে জানান, আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর তাদের ডাকা এ কর্মসূচির সাথে বিভাগের বাকি ৫ জেলাসহ ফরিদপুর ও মাদারীপুর বাস মালিক সমিতিও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
যদিও সবকিছু উপেক্ষা করে ৫ নভেম্বর বরিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে দাবি করেছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির।
এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরওয়ার বলেন, সরকার বাধা তৈরি করে এই সমাবেশকে ঠেকাতে পারবে না। জনসমুদ্রে পরিণত হবে সমাবেশস্থল।