নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে বেড়েছে সবজি ও মুরগির দাম। এদিকে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০২ থেকে ১০৮ টাকায়। ডাল, পেঁয়াজ, তেল ও মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
দুই সপ্তাহ আগেও বাজারে খোলা চিনি কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ৯০ টাকায়। কিছু দিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০২ থেকে ১০৮ টাকা কেজি।
ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। যাত্রাবাড়ী এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, আজ ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি ৩১৫ থেকে ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগির কেজি ৫৫০ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ৫-১৫ টাকা বেড়েছে। কালো বেগুন (গোল) ৯০ থেকে ১০০ টাকা, সাদা বেগুন (গোল)৭০ থেকে ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, সাদা মুলা ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, পটল, ঢেঁড়স ও চিচিঙ্গা ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা করে। শিম ১১৫ থেক ১২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পাকা টমেটো ১৩০-১৪০ টাকা, গাজর ১২০-১৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। চালকুমড়া প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ আকার ভেদে প্রতিটা ৬০ থেকে ৮০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে সারা দেশে চাল বিক্রি করায় বাজারে এখন চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গত সপ্তাহে যে দামে চাল বিক্রি করা হয়েছিল আজও একই দামে যাত্রাবাড়ী চালের আড়তে চাল বিক্রি হচ্ছে। ৫০ কেজির ব্রি-২৮ বস্তাপ্রতি বিক্রি হয় ২৭৫০-৩০০০ টাকায়, চিকন চাল (মিনিকেট) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ থেকে ৩৭৫০ টাকায় এবং নাজিরশাইল বস্তা বিক্রি হয় ৩৬০০-৪০০০ টাকায়।