আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অব্যাহত দাম কমার লাগাম টানতে রপ্তানিকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও তাদের সহযোগীদের দিনে ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত। এদিকে রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোও একমত হয়েছে। সব মিলিয়ে বিশ্বের নজর এখন আন্তর্জাতিক তেলের বাজারের দিকে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই দুই সিদ্ধান্তেই জ্বালানি তেলের দর ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করলে চিন্তা বাড়বে আমদানিকারকদের।
ইউক্রেনের ওপরে হামলার প্রতিবাদে রাশিয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পশ্চিমারা। তা সত্ত্বেও সম্প্রতি সে দেশের চারটি প্রদেশ নিজেদের বলে ঘোষণা করেছে পুতিন সরকার। এর পরেই রাশিয়া থেকে আসা তেলের দাম নির্দিষ্ট সীমায় বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ।
তবে সেই দাম কত হবে, তা পরে স্থির হবে। এর থেকে বেশি দামে সমুদ্র দিয়ে অন্য দেশে তেল বিক্রি করতে পারবে না রাশিয়া। এর আগে জি-৭ গোষ্ঠীও তেলের দাম বাঁধায় সায় দিয়েছিল। ডিসেম্বর থেকে যা চালুর কথা।
বিশেষজ্ঞেরা যদিও বলছেন, বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ৮৪ ডলারের কাছে নামার পরে বুধবারই (৫ অক্টোবর) প্রায় আড়াই বছরে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক ও রাশিয়াসহ তার সহযোগী দেশগুলো। সিদ্ধান্ত হয়েছে নভেম্বর থেকে দিনে ২০ লাখ ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করবে তারা।
এই খবরের পর ব্রেন্ট ক্রুড ছাড়িয়েছে ৯৩ দশমিক ৫০ ডলার। এই পরিস্থিতিতে দাম আরও বাড়লে লাভ হবে রাশিয়ারই। আর তেলের চড়া হারে ধুঁকবে বাংলাদেশের মতো আমদানিকারীরা।