নিজস্ব প্রতিবেদক : রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। এরপরও গতি তেমন বাড়েনি। সেপ্টেম্বরে ১৫৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এই অংক ছিল গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সেপ্টেম্বরে কমার পর অক্টোবরেও রেমিট্যান্সে দেখা দিয়েছে মন্থর গতি। চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ছয় দিনে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ বা ৩৫৭ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার সমান ১০৩ টাকা হিসাবে) প্রায় ৩ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬ কোটি ডলার করে রেমিট্যান্স আসছে বৈধভাবে বা ব্যাংকিং চ্যানেলে। চলমান এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে ১৮০ কোটি ডলার আসবে।
অথচ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রেমিট্যান্সের গতি ছিল ভালো। জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৯.৬৩ কোটি ডলার। আগস্ট মাসে ছিল ২০৩.৬৯ কোটি ডলার। গত মাস থেকেই সে ধারায় নেই রেমিট্যান্স।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে বৈধপথে রেমিট্যান্স আনতে আড়াই শতাংশ প্রনোদণা দেওয়া হচ্ছে। এটা নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্তভাবে দেশে আসে। এতে প্রবাসীরা উৎসাহিত হচ্ছেন। তাছাড়া নতুন করে বিভিন্ন দেশে শ্রমিক যাচ্ছে, অনেক দেশ শ্রমিক নিতে চুক্তি করছে। এসব দিক বিবেচনায় বলা যায়, আগামীতে বাড়বে প্রবাসী আয়।
আলোচিত সময়ে (অক্টোবরের প্রথম ছয়দিন) রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার, বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ লাখ ডলার আর বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
এসময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এনেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক। এরপর সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবং ডাচ–বাংলা ব্যাংক। তবে এখন পর্যন্ত কোনো রেমিট্যান্স আসেনি সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কর্মাশিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। আগের ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।