নিউজ ডেস্ক : মালয়েশিয়া থেকে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে বাড়তি ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি সিটি ব্যাংক।
সম্প্রতি ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এখন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা সেখানে অবস্থিত সিটি ব্যাংকের শতভাগ সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান সিবিএল মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে দেশে সিটি ব্যাংকে তাদের রেমিট্যান্সের টাকা পাঠালে পাবেন ২% বাড়তি প্রণোদনা। এই অঙ্ক প্রবাসী রেমিট্যান্সের ওপর সরকারের দেওয়া ২.৫% প্রণোদনার অতিরিক্ত। একইসঙ্গে তারা ‘সিটি রেমিট’ নামে মোবাইল রেমিট্যান্স অ্যাপটি ব্যবহার করে কর্মস্থলে বা ঘরে বসেই টাকা পাঠাতে পারবেন বাংলাদেশে।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের আনকাসা হোটেলে সিটি ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিবিএল মানি ট্রান্সফার এসডিএন. বিএইচডি, মালয়েশিয়ার ‘সিটি রেমিট’ মোবাইল রেমিট্যান্স অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারওয়ার এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, সিবিএল মানি ট্রান্সফার এসডিএন বিএইচডি মালয়েশিয়ার পরিচালক ফারুক সোবহান ও দাতো গুরচরণ সিং।
দেশে প্রবাসী রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমে যাওয়া এবং ডলারের সংকট কিছুটা তীব্র হওয়ার প্রেক্ষাপটে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের এ ঘোষণা রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি সিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই বাড়তি ব্যয় নিতে রাজি হওয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং অন্যান্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠানকেও দেশে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপরে একইরকম বাড়তি প্রণোদনা দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে বলেন।
অন্যদিকে ‘সিটি রেমিট’ নামে ক্রস-বর্ডার ব্যাংকিং রেমিট্যান্স চ্যানেল অ্যাপটির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ ৭টির বেশি দেশের প্রবাসীরা মালয়েশিয়ায় অবস্থিত সিবিএল মানি ট্রান্সফারের ১৫টি শাখার যে কোনোটিতে গিয়ে অথবা অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে দেশে টাকা পাঠাতে সক্ষম হবেন। এই অ্যাপ ব্যবহার করে যে কোনো প্রবাসী গ্রাহক তার মালয়েশীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাশ পিক-আপ, অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার এবং মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে দেশে তাৎক্ষণিক ও নিরাপদে টাকা পাঠাতে পারবেন।
‘হুন্ডিকে না বলুন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে ঘোষিত ২% বাড়তি প্রণোদনা আগামী রোববার (২৩ অক্টোবর) থেকে কার্যকরী হয়ে পরবর্তী তিন মাসের জন্য প্রযোজ্য থাকবে।