সূচকের বড় উত্থান, কমেছে লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : পতন থেকে বেরিয়ে বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। তবে লেনদেনের গতি কমে গেছে। এতে দুই মাসের মধ্যে শেয়ারবাজারে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।

এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েছে। পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। তবে লেনদেন কমে হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে গেছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে তার থেকে বেশি প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। এতে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। অবশ্য এ বাজারটিতেও লেনদেন আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিয়েছে। তবে এদিনও আগের দিনের মতো দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়। এতে শেয়ারবাজার খুলতেই ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

মাঝে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমলেও লেনদেনের শেষদিকে দরপতন থেকে বেরিয়ে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেয়। এতে সূচকের বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২টির। আর ১৯৭টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৩১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেন কমে দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় চলে গেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৯৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। লেনদেন শুধু আগের দিনের তুলনায় কমেনি, চলতি বছরের ১৪ আগস্টের পর এই প্রথম হাজার কোটি টাকার কম লেনদেন হলো।

ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৮৯ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৮৩ কোটি ৯১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং পেপার প্রসেসিং।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১১০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮টির এবং ১০৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
পরবর্তী নিবন্ধগাইবান্ধা নির্বাচনে ভোটচুরি স্বচক্ষে দেখেছি: সিইসি