নিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে সরকার। কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে সপ্তম লটে এই সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ৬৫৯ দশমিক ১৭ ডলার হিসাবে এই সার কিনতে মোট ব্যয় হবে ২০৯ কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ইউরিয়া সারের মোট চাহিদা ৩৪ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সারের প্রকৃত চাহিদা ২৬ লাখ মেট্রিক টন এবং নিরাপত্তা মজুতের জন্য আট লাখ মেট্রিক টন রয়েছে।
সূত্র জানায়, মোট চাহিদার বিপরীতে সম্ভাব্য প্রারম্ভিক মজুত ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টন, সম্ভাব্য উৎপাদন ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং ঘাটতি ধরা হয়েছে ১৭ লাখ ৮৩ হাজার মেট্রিক টন। ঘাটতি ইউরিয়া সারের বিপরীতে মোট আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন। প্রতিটি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ভিত্তিতে এ সার আমদানি করা হবে।
চারটি উৎস থেকে ইউরিয়া সার ক্রয় বা আমদানি করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) লিমিটেড থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন। সৌদি আরব এর সাবিক থেকে চার লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। কাতার এর মুনতাজাত থেকে চার লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এর ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে দুই লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির কথা রয়েছে।
কাতারের মুনতাজাত থেকে মোট ছয় লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির বিষয়ে চুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে ঘাটতি চাহিদার চার লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং আপদকালীন ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।