নিউজ ডেস্ক : ২০৩০ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের টার্গেট পূরণে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমএই সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, দ্রুত পোশাক খাতের ৬০ শতাংশ কর্মীকে দক্ষ করা হবে। এজন্য সরকারসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) গুলশানের একটি হোটেলে ‘নেটওয়ার্ক টু ইন্টারোগেটিভ প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ ইমপ্রুভমেন্টস’ শীর্ষক সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমএই), আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ডেনমার্ক যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প আগামী দিনে বৈশ্বিক বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার জন্য দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির দিকে ক্রমাগতভাবে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে বিপুল প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু আমরা উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই শিল্পের সামনের দিন প্রতিটি সুযোগকে কাজে লাগাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, বিজিএমইএ-এর কমপ্লেক্সে দক্ষতা, উদ্ভাবন ও পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র (সেন্টার অব ইনোভেশন, এফিশিয়েন্স অ্যান্ড ও এসএইচ) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। এই কেন্দ্রের লক্ষ্য হচ্ছে উৎপাদনশীলতার উন্নয়ন, শিল্প প্রকৌশল, পণ্য উন্নয়ন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, টেকসই উন্নয়ন, লিন উৎপাদন এবং পোশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ করা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ ফাজলী ইলাহী, গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ইউনি ইস্ট্রুপ পিটারসে। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিজিএমএই পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব ও বিজিএমইএর স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চেয়ারম্যান এস এম খালেদ।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, নেটওয়ার্ক টু ইন্টারোগেটিভ প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (নিপোস) প্রকল্পে মোট ২৫টি কারখানা অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিটি নেটওয়ার্কিং মিটিং এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, যাতে করে অংশগ্রহণকারী কারখানাগুলো প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ কারখানায় প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুপ্রাণিত হয়।
যাতে করে কারখানাগুলোর জন্য একটি উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা যায় এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া যায়। অংশগ্রহণকারী কারখানাগুলোতে প্রকল্পের সময় মোট দক্ষতার উন্নয়ন হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন হয়েছে ১৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। যেহেতু প্রকল্পটি শেষ হয়েছে, তাই বিজিএমইএ তার সদস্যদের সহযোগিতা করতে এবং উল্লেখিত কাজের গতি অব্যাহত রাখতে নতুন নামে কাজটি চালিয়ে যাবে।