নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ছেলেরা যা পারেনি, মেয়েরা তা পেরেছে। ছেলেরা শুনলে একটু রাগ করবে। রাগ করার কিছু নেই। ছেলেদের প্রতিযোগিতা একটু বেশি। তাও আমি বলবো, আমাদের মেয়েরা যথেষ্ট ভালো করছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে নিজ কার্যালয়ে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন সাফজয়ী দলের ২৩ জন খেলোয়াড় ও ১১ জন কর্মকর্তাকে সম্মাননা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে পাঁচ লাখ এবং কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা হিসেবে দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা যত খেলাধুলা ও সাহিত্যচর্চা করবে তাদের তত দেশপ্রেম গড়ে উঠবে।
এসময় তার সরকারের গত ১৪ বছরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের যথেষ্ট অর্জন আছে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
শিশুদের প্রতিদিন খেলাধুলার জন্য সুযোগ করে দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ জয় করেছি, খেলায়ও জিতবো। এ মনোবল নিয়ে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।
গত সেপ্টেম্বরে সাফ নারী আসরের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফজয়ী খেলোয়াড়রা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তাদের চ্যাপিম্পয়ন ট্রফি তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো অধ্যায়ের পর ক্ষমতায় আসে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। তারা দেশের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে আমরা একদিকে জনগণের আত্মসামাজিক উন্নয়ন, অন্যদিকে খেলাধুলার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেই।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল প্রথমবারের মতো আইসিসি ট্রফি পায়। ১৯৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপের আয়োজন করি আমরা। আইসিসিতে আমাদের ক্রিকেট দল যখন জিতে আসে আমরা বিরাট সংবর্ধনাও দিয়েছিলাম। যেন মানুষ উৎসাহিত হয়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ক্রীড়াঙ্গনে আবার একটা কলঙ্কজনক অবস্থা তৈরি হয়।
উপস্থিত সাফজয়ী তারকাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। খেলার জগতে আসলেই আমার পরিবারের কথা মনে পড়ে। আমার দাদা ফুটবল খেলতেন, আমার বাবা ফুটবল খেলতেন। আমার দাদা ও আমার বাবা খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। আমার ভাই শেখ কামাল ফুটবল খেলতেন। জামাল ফুটবল, ক্রিকেট খেলতেন। আমার বাসাটাই ছিল স্পোর্টস জগৎ। আমার পরিবারটা খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত। আবাহনী ক্রীড়াচক্র যখন তৈরি করা হয় তখন আমরা সাধ্য মতো সহযোগিতা করেছিলাম।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা বিজয়ী জাতি। সব সময় এটা মাথায় রাখতে হবে। খেলার মাঠেও মাথায় রাখতে হবে- যুদ্ধ জয় করেছি, খেলাও জয় করব। এ চিন্তা নিয়ে সবাইকে চলতে হবে। তাহলেই সাফল্য আসবে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাবের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন।