সংকট মোকাবিলায় ‘কৃষি ঋণে’ গতি বাড়ানোর তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ‘কৃষি ঋণে’ গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

সরকারের কৃষি নীতির পূর্ণ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ডেকে এমন নির্দেশনা দেন তিনি। একই সঙ্গে উচ্চ খেলাপি বিবেচনায় শিল্প ঋণে বিনিয়োগ কমানোর নির্দেশনাও দেন।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গির আলম কনফারেন্স হলে বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন গভর্নর।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সভায় খাদ্যপণ্যে আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরকারপ্রধানের কৃষিতে জোর দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের। দেশে যেসব খাদ্য উৎপন্ন হচ্ছে সেসব পণ্য যাতে বিদেশ থেকে আমদানি করতে না হয় সে লক্ষ্যে টার্গেট ভিত্তিক কৃষি ঋণ বৃদ্ধি করতে বলা হয়। চলমান কৃষি স্কিমগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন ও স্বাভাবিক লোনের ক্ষেত্রে কৃষির ওপর বিশেষ দৃষ্টি বাড়ানোর কথা বলা হয় সভায়।

পাশাপাশি যেসব ব্যাংক কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে তাদের সাধুবাদ জানানো হয়। চলমান সংকট মোকাবিলায় নতুন পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি যেসব ব্যাংক কৃষি ঋণের প্রতি উদাসীনতা দেখাচ্ছে তাদের কড়া বার্তাও দেন গভর্নর।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হুসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, সভায় নতুন কোনো বিষয়ে আলোচনা না হলেও কৃষি ঋণে গতি বাড়াতে বিশেষ তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কারণ ইতোমধ্যে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ কৃষি ঋণের ওপর গুরুত্বারোপের পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে চলতি অর্থবছরে ৩১ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি গত ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি।

কৃষিতে ৪-৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদে ঋণ দেওয়া হয়। সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদের কৃষি ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয় শুধু কৃষি উৎপাদনে সম্পৃক্ত কৃষকদের জন্য।

চলতি অর্থবছরে ফসল ও সবজি চাষে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ ঋণের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি এবং বেসরকারি ব্যাংক ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বিতরণ করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসৌদির কাছে আর্জেন্টিনার পরাজয়
পরবর্তী নিবন্ধইসলামী ব্যাংক রাজশাহী জোনের শরীআহ বিষয়ক সভা