নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরের ৩ নভেম্বর সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিএসইসির সঙ্গে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বিএসইসির পক্ষে চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান রনি, মো. মাহমুদুর রহমান ও রায়হান কবির উপস্থিত ছিলেন।
জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসের পক্ষে চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব শেঠি, কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মার্ক নিরঞ্জন চৌধুরী ও ডেপুটি ম্যানেজার ইসাক আলী আলোচনায় অংশ নেন। দুই পক্ষের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কমিশনের ২০১৯ সালের ২১ জারি করা নির্দেশনা মেনে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। উভয় পক্ষের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের কার্যপত্র জারির ৩ মাসের মধ্যে শেয়ার ধারণের নির্দেশনা পরিপালন সাপেক্ষে বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করতে হবে। এ নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালক সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে কমিশন আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এর মধ্যে থাকবে কোম্পানিটিতে স্বতন্ত্র পরিচালকদের অন্তর্ভুক্তি এবং পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ পুনর্বিবেচনা করতে পারে অথবা ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদন দিতে পারে। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্যাটাগরি আপগ্রেড অথবা ইমপ্রুভ হতে পারে। এছাড়া, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিশ্চিত করতে হবে। শেয়ার ধারণ নিশ্চিতকরণ এবং এ সংক্রান্ত পরবর্তী অগ্রগতি প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে হবে। এছাড়া, শেয়ার ধারণ পরবর্তী কমিশনের ২০২১ সালের ২২ মার্চ জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানিটির ব্যবসা পরিচালনা করার কর্মকাণ্ড লিখিত আকারে কমিশনে দাখিল করতে হবে। একই সঙ্গে কোম্পানিটিকে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র জানিয়েছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যবসা পরিচালনা করে মুনাফা হলেও শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। ফলে, এর কারণ ব্যাখ্যা করতে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তলব করে বিএসইসি। একই সঙ্গে কোম্পানিটির প্রয়োজনীয় নথিপত্রও বিএসইসিতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০২২ সালের ৩০ জুন সর্বশেষ হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০১ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১.৯১ টাকায়। কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১২ ডিসেম্বর হবে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ১৭ নভেম্বর। ২০২১ সালে ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল ০.০১ টাকা।
এমএ